বর্ধমান স্টেশনের প্রবেশ পথে আচমকাই ফলস্ সিলিং ভেঙ্গে পড়ল রবিবার সকাল ১০ টা ৪০ নাগাদ। এই ঘটনায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সেখ সামিউল ওরফে সামিউল মোল্লা। বাড়ি পূর্বস্থলীর দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনপুর এলাকায়। গোটা ঘটনায় ফের রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসা শুরু হতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ব্যাপক পুলিশী নিরাপত্তা সহ তাঁদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের বর্ধমান স্টেশন থেকেই তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় কোয়রান্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে।
বর্ধমান স্টেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথীভুক্তের কাজে নিয়োজিত প্রত্যক্ষদর্শী বর্ধমানের সিভিল ডিফেন্সের ভলাণ্টিয়ার শুভজিত দাস জানিয়েছেন, এদিন সকাল ১০টা ১০ থেকেই পরপর দুটি ট্রেন ঢুকতে শুরু করে। এর মধ্যে বেঙ্গালুরু থেকে একটি ট্রেনে বর্ধমান স্টেশনে নামেন ৫৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক। অপর একটি ট্রেন এদিন কেরালা থেকে আসে। এই ট্রেন থেকে নামেন ৩০৫ জন শ্রমিক। শুভজিতবাবু জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা ১নং গেট দিয়েই লাইন করে বেড়িয়ে আসছিলেন। তাঁদের নাম-ঠিকানা নথীভুক্তির কাজ চলছিল। সেই সময় বর্ধমান স্টেশনের ১নং গেটের গাড়ি বারান্দা যা গত ৪ জানুয়ারি ভেঙে পড়ার পর নতুন করে মেরামত করা হয় সেখানেই ফলস্ সিলিং-এর একটি চাঙড় খসে পড়ে সামিউল মোল্লার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বসে পড়েন। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। দ্রুত পরিযায়ী শ্রমিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে। গোটা এলাকাকে ঘিরে দেওয়া হয়। আহত শ্রমিককে মাথায় জল দিয়ে কিছুটা সুস্থ করার পর যথারীতি তাঁকে দোগাছিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যাবার আগে সামিউল জানিয়েছেন, নেহাতই খুব হাল্কা চাঙড় তাঁর মাথায় পড়েছিল বলে তিনি বেঁচে গেলেন।
এই ঘটনায় পুর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এদিন সকালে বর্ধমান স্টেশনের একটি ফলস্ সিলিং-এর ছোট্ট অংশ খুলে পড়ে যায়। সম্ভবত, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জন্য জল ঢুকেই এই অংশটির ক্ষতি করে। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। খবর পেয়েই রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।