মঙ্গলবার বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা পাড়া এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামে বর্ধমান পৌরসভা। এদিন ফুটপাত দখল করে থাকা দোকানগুলির পাশাপাশি ভেঙে ফেলা হয় দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দির সংলগ্ন সর্বমঙ্গলা ট্রাস্ট বোর্ডের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া দোকানগুলিও।
বর্ধমান পৌরসভার পৌরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দির চত্বর ও ফুটপাত দখল করে ছিল একাধিক দোকান। বিগত ৫-৭ দিন ধরে সেই সমস্ত দোকানদারদের সাথে কথা বলেছেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক এবং তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। অধিকাংশ দোকানদাররাই তাঁদের দোকান সরিয়ে নিয়েছেন। যাদের দোকান ছিল বা দোকানের কিছু অংশ ছিল সেগুলি আজ আমরা বুলডোজার দিয়ে সরিয়ে দিলাম। তিনি জানিয়েছেন, এটা নির্ধারিত কর্মসূচি। সর্বমঙ্গলা মন্দির এলাকা থেকে রানি স্কুলের আলমগঞ্জ রোড পর্যন্ত রাস্তার উপরে কিছু দোকান আছে সেগুলো পরিষ্কার করা হবে।
বর্ধমানের ইতিহাসে পুরাতন ঐতিহ্য সর্বমঙ্গলা মন্দির। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ এখানে আসেন। ৫০ বছরের উপরে মন্দিরে ঢোকার রাস্তা, দাঁড়াবার, বসার জায়গা সব জবরদখল হয়ে গেছে, দোকান বসে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই ধরণের জবরদখল মুক্ত করতে। গত কয়েক দিন ধরে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস দোকানদারদের সাথে কথা বলেছেন, আমরাও বুঝিয়েছি। অধিকাংশ দোকান যারা দখল করে ছিলেন তাঁরা উঠে গেছেন। কিছু দোকানের কিছু অংশ ছিল সেগুলো আমরা সরিয়ে দিলাম। তিনি জানিয়েছেন, ৫০-৬০ বছর পর মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্দিরের সামনের অংশ পরিষ্কারভাবে দেখতে পাবেন। দুঃখের বিষয় এতদিন এই রকম একটা মন্দিরে কার্যত পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে হত। পরেশবাবু জানিয়েছেন, জেলখানা মোড়, মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, নার্স কোয়ার্টার, কোর্ট কম্পাউন্ড, বিসি রোড, জিটি রোড, সর্বমঙ্গলা মন্দির এই সমস্ত এলাকাগুলো আমাদের দখল মুক্ত করার লক্ষ্য ছিল। আমরা সফল হয়েছি। এই সমস্ত জায়গায় যারা ছোটখাটো ব্যবসা করছিলেন এরপর তাঁদের কথা ভাবা হচ্ছে। আগে খালি করার লক্ষ্য ছিল, সেটা হয়েছে। আমরাও মানবিক। তাই আমরা এবার এই ব্যবসায়ীদের রুটিরুজির কথা ভাববো। পাশাপাশি এই এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্য যা করার করা হবে।