বিদ্যুৎ চুরিতে রাজ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার স্থান প্রথম। চুরির ফলে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে সোমবার বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সভাগৃহে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম লিমিটেডের চীফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ পাণ্ডে। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব সহ জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক, ব্লক স্তরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরাও।

এদিন বৈঠক শেষে বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে এদিন বৈঠক হয়েছে। লোকসান কমাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে গোটা রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই সবথেকে বেশি লোকসানের হার। যার পরিমাণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এই লোকসানের মূল কারণ হুকিং এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া।

বিদ্যুৎ দপ্তরের দুই বর্ধমান জেলার রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপ কুমার বাছাড় জানিয়েছেন, জেলার ২৭টি বিদ্যুৎ দপ্তরের সেক্টর এলাকার মধ্যে ১১টি সেক্টর এলাকায় বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকসানের পরিমাণ সব থেকে বেশি। ভয়াবহ অবস্থা জেলার ভাতার ব্লকে। তিনি জানিয়েছেন, সব থেকে বেশি লোকসানের বহর রয়েছে ১৩টি ব্লকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হুকিং করা এবং বিদ্যুতের একটি বৈধ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও অসদুপায়ে অন্য একটি সংযোগ নেওয়ার কারণেই বিদ্যুতের এই লোকসান হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে ১৩৬টি এফআইআরও করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে এই লোকসান কমাতে পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Like Us On Facebook