প্রভিডেন্ট ফান্ডের(পিএফ) টাকা পেতে আর দুর্গাপুর ছুটতে হবে না বর্ধমানের শ্রমিকদের, বর্ধমানেই পিএফ হাট খুলল প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ। কাগজপত্র ঠিক না থাকায় অবসরের পর হয়রাণ হতে হচ্ছিল বহু শ্রমিককেই। অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছিলেন। বর্ধমান শহরেই পিএফ অফিস হওয়ায় সেইসব সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দাদের।

প্রভিডেন্ট ফান্ডে দালালরাজ খতম করতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে দালালদের খপ্পরে না পড়েন সেজন্য এবার জেলায় জেলায় পিএফ হাট তৈরির উদ্যোগ নিল প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বর্ধমানের আলমগঞ্জে ‘মাই ই-পিএফ হাট’-এর উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করেন ইপিএফের রিজিওনাল (দুর্গাপুর) কমিশনার আরএফ লোহানী।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ৪৫০টি রাইস মিল রয়েছে, যেখানে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি কর্মী যুক্ত। সিংহভাগই ইপিএফের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দেখা যাচ্ছে অবসরের পর তাঁদের নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। আর তাই তাঁদের সময় ও অর্থ খরচ করে দুর্গাপুর রিজিওনাল অফিসে ছুটতে হচ্ছিল। অনেক সময়ই তাঁরা দালালদের খপ্পরে পড়ে অর্থ খরচ করলেও বাস্তবে সুরাহা পাচ্ছিলেন না। ই-পিএফ হাট চালু হওয়ায় সুবিধা হল তাঁদের। আপাতত সপ্তাহে ৪দিন খোলা থাকবে এই পিএফ হাট। ইপিএফ সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলবে।

ইপিএফের কমিশনার আরএফ লোহানী জানিয়েছেন, অনেক সময়ই ইপিএফ গ্রাহকরা দালালদের খপ্পরে পড়েন। তাঁদের সমস্যা এখান থেকেই মেটানো হবে। জেলায় জেলায় পিএফ হাট করে এই সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আসানসোলে এই ধরণের হাট চালু হয়েছে। এদিন বর্ধমানে এই হাট চালুর পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও এই হাট চালু করতে চলেছে ইপিএফ কর্তৃপক্ষ।


Like Us On Facebook