চলতি খরিফ মরশুমে ডিভিসি থেকে আগামী ৩০ জুলাই সেচের জল ছাড়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বুধবার দুই বর্ধমান সহ বাঁকুড়া, হুগলী ও হাওড়া জেলার সভাধিপতি, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সহ ডিভিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে এই বৈঠক করে গেলেন বর্ধমান রেঞ্জের কমিশনার মহম্মদ গোলাম আলি আনসারি। এদিন হুগলী জেলার সভাধিপতি সেখ মেহেবুব রহমান জানিয়েছেন, প্রতিবছরই খরিফ মরশুমে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার আগে এই ৫ জেলাকে নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ডিভিসিতে সঞ্চিত জলের পরিমাণ কত আছে, কিভাবে সেই জল ছাড়া হবে প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ৩০ জুলাই থেকে অন্তত ৫ দফায় এই জল ছাড়া হবে। তার আগে প্রতিটি জেলায় এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি করে বৈঠক করে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য জানাবেন।

এদিন হাওড়া জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমেশচন্দ্র পাল জানিয়েছেন, খরিফ মরশুমে হাওড়া জেলার চাষীদের ডিভিসির সেচের জলের প্রয়োজন হয়না। কিন্তু যেহেতু ডিভিসির নিম্নবর্তী এলাকা তাই ডিভিসির ছাড়া জলে তাঁদের উপকারের পরিবর্তে অপকারই হয়। এই জলে প্লাবিত হয় তাঁদের চাষের জমি। তাই প্রতিবারই তাঁরা এই জল ছাড়ার বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানান, অন্তত জল ছাড়ার আগে তাঁদের যেন জানানো হয়। রমেশবাবু জানিয়েছেন, এদিনও তাঁরা সেই একই দাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন পর্যন্ত ডিভিসির মাইথন জলাধারে সঞ্চিত জলের পরিমাণ ৪৭১.৯৭ফুট এবং পাঞ্চেতে রয়েছে ৩৯৯.৫৩ ফুট। এদিন এই বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল, জেলাশাসক বিজয় ভারতী প্রমুখ।

Like Us On Facebook