রেড রোডে দুর্গা বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার অনুকরণে এবছর থেকে বর্ধমান শহরে দুর্গা কার্নিভালের উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। এবছর আর ঠাকুর বিসর্জন দেখতে এদিক ওদিক ঘুরতে হবে না। অন্তত এক জায়গায় বসেই এবার বর্ধমান শহরের বেশ কিছু বড় পুজো উদ্যোক্তাদের সুসজ্জিত শোভাযাত্রা, ট্যাবলো দেখতে পাবেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কলকাতায় চালু হয়েছে শারদোৎসবের শেষে মেগা কার্নিভাল বা দুর্গা বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
গতবছরই কলকাতার দেখাদেখি বর্ধমান শহরেও পুজোর ঠিক আগে একই ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করার চেষ্টা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। সময়াভাবে তা করা না গেলেও এবার অনেক আগে থাকতেই বর্ধমান শহরে দুর্গাপুজোর বিসর্জন নিয়ে একই ধরণের সুসজ্জিত শোভাযাত্রা তথা দুর্গা কার্নিভালের উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এব্যাপারে একটি প্রথম দফায় বৈঠকও অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক সহ পুলিশ, দমকলের প্রতিনিধি এবং দুর্গাপুজো সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিরাও।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গতবার অনেক দেরীতে এই আলোচনা শুরু হওয়ায় তা করা যায়নি। তাই এবার অনেক আগে থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) নিখিল নির্মলের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এব্যাপারে আগামী ১০দিন তাঁরা শহরের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন। কথা বলবেন বিভিন্ন বড়মাপের পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও। তারপরেই কোন্ পথে এই শোভাযাত্রা প্রদর্শিত হবে তা ঠিক করা হবে।
জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে তাঁরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরষ্কৃতও করবেন। এছাড়াও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং সুন্দর পরিবেশ যাঁরা সৃষ্টি করতে পারবেন পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদেরও পুরষ্কৃত করা হবে। অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে পুজো উদ্যোক্তারা মনে করছেন কার্নিভালের এই রুট হতে পারে জিটি রোড বরাবর। সেক্ষেত্রে বিসর্জনের জন্য দামোদরকেই প্রাথমিকভাবে বাছা হচ্ছে।