বর্ধমানে খোসবাগানের একটি নার্সিংহোম থেকে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জালিয়াতি করার ঘটনার পর শনিবার আচমকাই বর্ধমানের উল্লাস এলাকার কিমস্ নার্সিংহোমে গিয়ে নানান পরিষেবা খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক ড. প্রণব রায়, সদর মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এদিন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন, এই নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবহার কিভাবে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেছেন তিনি। কয়েকটি বিষয় নিয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সম্পর্কে এই নার্সিংহোমে কোন রেজিষ্টার না থাকায় দ্রুত রেজিষ্টার চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কিয়স্ক চালুরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এদিন এই নার্সিংহোমে গিয়ে জেলাশাসক কথা বলেন বিভিন্ন রোগীদের সঙ্গেও। এখানেই তিনি অভিযোগ পান, হুগলীর চাঁপাডাঙা এলাকার বাসিন্দা পিণ্টু পাত্রকে এই নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্টের অপারেশনের জন্য ভর্তি করা হয়। প্রায় ৬দিন আগে চিকিৎসক তাঁকে ছুটি দিলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ টাকা না পাওয়ায় রোগীকে ছাড়েনি। এদিন রোগীর আত্মীয় সুকান্ত পাত্রের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক। তারপরই এদিন বিকালেই ওই রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এদিন এই নার্সিংহোমের জনসংযোগ আধিকারিক মিসাইল দত্ত জানিয়েছেন, জেলাশাসক এই নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। কয়েকটি বিষয়ে তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। সেগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা পালনও করবেন। একইসঙ্গে কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার পরেও টাকা না আসায় তাঁরাও কিছু সমস্যায় পড়ছেন। এব্যাপারেও এদিন জেলাশাসক এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা।