পোষ্য এক সারমেয়কে কেন্দ্র করে পাশাপাশি বসবাস করা দুটি পরিবারের দীর্ঘদিনের মধুর সম্পর্ক আজ তলানিতে ঠেকেছে। অভিযোগ পানাগড়ের ক্যানেল পাড়ের বাসিন্দা আশীষ মুখার্জীর বাড়ির পোষা একটি সারমেয় সারা রাত ধরে চিৎকার করায় এলাকার মানুষের রাতের ঘুম শিকেয় উঠেছে। অতিষ্ঠ পড়শিরা স্থানীয় মানুষ সুকুমার ব্যানার্জীর নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে যেমন অভিযোগ দায়ের করছেন তেমনই সারমেয়র মালিক আশীষ মুখার্জী নিজের পোষা সারমেয়টিকে আইনী অধিকার দিতে পুলিশ প্রশাসন থেকে পশুপ্রেমী সংগঠন, অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশন হয়ে অভিযোগ মানেকা গান্ধী পর্যন্ত গড়িয়েছে। কোন সুরাহা না হওয়ায় হতাশ উভয় পক্ষই।
জানা গেছে, আশীষ মুখার্জীর একটি পোষা দেশি কুকুর আশপাশে অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই প্রতি রাতেই প্রবল চিৎকার করা। কুকুরের চিৎকারে অতিষ্ঠ পড়শি সুকুমার ব্যানার্জী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সুকুমার ব্যানার্জী অভিযোগ জানালে পাল্টা অভিযোগ জানান আশীষ মুখার্জী। আশীষবাবু দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন থেকে কুকুরদের নিয়ে কাজ করা এনজিও দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশন হয়ে সেই অভিযোগ গিয়ে পৌঁছয় মানেকা গান্ধীর কাছে। দুই পক্ষই অনড় মানসিকতা নেওয়ায় চরম অশান্তি চলছে দুই পরিবারের মধ্যে।
সুকুমার ব্যানার্জীর অভিযোগ তিন বছর ধরে প্রতি রাতে কুকুরটি বিকট শব্দ করে। রাতের ঘুম উড়ে গেছে আমাদের। এলাকায় বয়ষ্ক, শিশু সকলেই কুকুরটির ডাকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কুকুরটির কোন একটি ব্যবস্থা না করলে আমি এর চরম বিরোধিতা করব। সুকুমারবাবু বলেন এলাকায় মানুষের আগে কুকুর হতে পারে না।
এদিকে আশীষ মুখার্জী আড়াই বছর ধরে কুকুরটিকে লালন পালন করে বড় করায় মায়ার জালে পড়ে কুকুরটিকে বাড়ি থেকে তাড়াতে নারাজ। আশীষবাবু বলেন, আমার ছেলের মতো কুকুরটি। আমার অবর্তমানে আমার বাড়ির মালিক কুকুরটিও। স্বাভাবিকভাবেই ওর আইনি অধিকার আছে নিজের বাড়িতে চিৎকার করার। কোন অস্বাভাবিক আচরণ দেখলেই কুকুরটি প্রবল চিৎকার করে। এতেই আপত্তি পড়শি সুকুমার ব্যানার্জীর। আমার কুকুরটির আইনি অধিকার আছে তার নিজের বাড়িতে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার।
পোষা কুকুরকে নিয়ে সমস্যার কথা বুধবার মহকুমা শাসকের সাথে দেখা করে জানালেন পানাগড়ের বাসিন্দা আশীষবাবু। আশীষবাবু জানান, তাঁর পোষা কুকুর নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছেন।