পাথর, বালি ,লোহা, কয়লার পর এবার বাড়ি আর পায়খানা থেকেও টাকা খাচ্ছে দিদির দলের নেতা-কর্মীরা। এরকম খেকো সরকার আগে কখনও দেখা যায়নি। শনিবার বর্ধমানের পার্বতীমাঠের জনসভায় এসে এভাবেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তীব্র সমালোচনায় মুখর হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন আগামী ২০১৯ -এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, রাজ্যে এমন একটা সরকার চলছে যে একবছর ধরে একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনই সম্পন্ন করতে পারল না। এখনও বহু জায়গায় বোর্ড গঠন হয়নি। করতে দিচ্ছেনা। যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানে নানা টালবাহানায় বোর্ড গঠনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের হয় প্রলোভন দেখানো হচ্ছে, না হয় তাদের মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেবার চেষ্টা চলছে। বিজেপিকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন জমা দিতে দেয়নি। একতরফা নমিনেশন জমা দিয়ে দেখিয়েছে সব আসনেই তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করেছে। নভেম্বরেই পুরভোট। বিজেপি সেখানেও লড়াই করবে। কিন্তু আসল লড়াই ২০১৯-এর লোকসভা ভোট। তখন আর দিদির পুলিশ দিয়ে ভোট হবে না। দাদার পুলিশ দিয়ে ভোট হবে। দিলীপবাবু এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, দেখবো লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কত ক্ষমতা। ক্ষমতা থাকলে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে রিগিং করে দেখাবে তৃণমূল। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি খেলবে আর তৃণমূল দাঁড়িয়ে দেখবে। এদিন তিনি রাজ্যের পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুলিশের চাকরি করছেন করুন, কিন্তু তৃণমূলের তাঁবেদারি করবেন না।