দুর্গাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কমলপুরের পাথর খাদান সংলগ্ন ওয়াশিং প্লট এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। এরইমধ্যে কয়েকদিন আগে বমি, পায়খানা ও জ্বরে স্থানীয় দু’জনের মৃত্যুতে এলাকায় আরও আতঙ্কের থাবা বসিয়েছে। জানা গেছে, মৃত দু’জন হল কার্তিক ভূঁইয়া ( ৩৮) এবং সঙ্গীতা ভূঁইয়া (১৫)। স্থানীয় মানুষের দাবি এখনও পর্যন্ত এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশে দাঁড়িয়েছে এবং দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দশ জনকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক ও কর্মীরা। একই সঙ্গে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় মানুষকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার কজে হাত লাগিয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কমলপুরের পাথর খাদান এলাকার ওয়াশিং প্লটে দিনমজুর পরিবারদের বাস। এলাকাটি দুর্গাপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত। কিন্তু এলাকাটি ভৌগলিক অবস্থানে বেশ উঁচু হয়ে পড়ায় পুরসভার পানীয় জলের পাইপ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয় নি স্থানীয় মানুষকে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় মানুষ পানীয় জলের সংকট কাটাতে কূয়োর জলের উপর নির্ভরশীল। চিকিৎসদের অভিমত, কুয়োর জলে দূষণের ফলেই এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্যদফতর থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। স্থানীয় মানুষ জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এলাকায় গত একমাস ধরে পানীয় জলের সংকট ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলার কথা দুর্গাপুরের মেয়রকে জানানোর পরও দুর্গাপুর পুরসভার পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানান। পাশাপাশি ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার এলাকায় ছুটে যান দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট চেয়ে পাঠান।


Like Us On Facebook