আউসগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনের এবার গ্রেফতার সুপারি কিলার। ঘটনায় ধৃত আসানুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার কথা জানতে পারে পুলিশ। ধৃত দুই সুপারি কিলারের নাম সেখ শের আলি ও ইমরান কুরেশি। গতকাল রাতে তাঁদের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ইমরান কুরেশি দুর্গাপুরের বাসিন্দা ও শের আলি বীরভূমের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬ লক্ষ টাকায় রফা হয় খুনের জন্য। দু’দফায় ৭৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। চুক্তির সময় ২৪ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। খুনের পরের দিন ৫০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়। আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের তৃণমুল নেতা চঞ্চল বক্সি খুনে আগেই গ্রেফতার হন তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য আসানুল মণ্ডল, মনির হোসেন মোল্লা সহ দুই তৃণমূল কর্মী। গতকাল ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার হয় দুই অস্ত্র কারবারিও।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানুল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে চঞ্চল বক্সিকে খুনের জন্য শের আলিকেই সুপারি দেওয়া হয়। শের আলি দেবশালা এলাকায় প্রায়ই আসতো। ফলে একদিকে যেমন এলাকার রাস্তাঘাটও চিনতো তেমনই চঞ্চল বক্সীকেও চিনতো। পুলিশের দাবি, জেরায় শের আলি স্বীকার করে খুনের দিন ধৃত ইমরান কুরেশির বাইকে চেপে এসে চঞ্চল বক্সিকে গুলি করে খুন করে। খুন করে ফেরার সময় আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে গায়ের জামা খুলে ফেলে দেয় ধৃত। এমনকি জামা খুলে ফেলার সময় সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটিও রাস্তায় পড়ে যায়। ঘটনার দিনই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে আদালত আট দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে। ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে চঞ্চল বক্সি। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Like Us On Facebook