ডাকাতির পর পরই ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠল বর্ধমানে। শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট এলাকায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখায় বড় ধরণের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা অন্তত ত্রিশ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে জেলা পুলিশ। ৪৫ মিনিট ধরে ব্যাঙ্কের ভিতরে অপারেশন চালায় ছ-সাত জন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
ডাকাত ঢুকেছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম বাজানো হলো না কেন সেই প্রশ্ন তুলছেন আশপাশের ব্যবসায়ীরাও। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের পাশেই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এই বর্ধমান শাখা। দো’তলা এবং তার সামনে পিছনে আশপাশে ছোট-বড় দোকানের সারি। এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুষ্কৃতীরা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম বাজলে দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হত না। সেই অ্যালার্ম না বাজায় দীর্ঘক্ষণ ধরে দুষ্কৃতীরা অপারেশন চালালেও আশপাশের কেউ টের পাননি।
প্রশ্ন উঠছে ব্যাঙ্কের অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ নিরাপত্তারক্ষী থাকার কথা। ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ থাকার কথা। কর্মী-অফিসার থেকে শুরু করে আমানতকারী সকলকেই নিরাপত্তারক্ষীর নজরদারির মধ্যে থাকার কথা। একসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রধারী ছ-সাত জন দুষ্কৃতী একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ল অথচ নিরাপত্তারক্ষী তা টের পেল না কেন সেই প্রশ্ন উঠছে।
জেলা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কে সেই সময় নিরাপত্তা রক্ষী ছিল কিনা বা ব্যাঙ্কের এমার্জেন্সি অ্যালার্ম ঠিক ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের সি সি টিভি সে সময় কাজ করছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, ব্যাঙ্কের সিঁড়িতে থাকা সি সি টিভি সেসময় কার্যকর অবস্থায় ছিল না। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা সি সি টিভির হার্ডডিস্ক দুষ্কৃতীরা নিয়ে চম্পট দেয় বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই বৈঠক করা হয়। তার পরেও কেন এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।