স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গহনা ও টাকা লুটের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল গলসি থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত পুরো দলটিকেই ধরেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লুট করা গহনা ও টাকা। রবিবার চার জনকে ধরেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জন পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ও ভাতাড়ের বাসিন্দা। বাকি দু’জন মুর্শিদাবাদের সালার এলাকার বাসিন্দা। এর আগে এই ঘটনায় গলসিরই এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছিল। তাকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ পুরো দলটিকে ধরেছে।

গত বুধবার রাতে গলসির ভুড়িডাঙা এলাকায় দোকান বন্ধ করে বাইকে করে ছাল্লারপুর গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন গহনার ব্যবসায়ী শওকত মোল্লা। অভিযোগ, ইটারু গ্রামের রাস্তায় একটি কালভার্টের কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর বাইক আটকায়। ধাক্কাধাক্কিতে তিনি পড়ে যান। সেই সময় তাঁর ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাইকের চাবিও নিয়ে নেয়। তার পর দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বরটি দেখে ফেলেন। এই বিষয়ে গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। গাড়ির নম্বরের সূত্রে ছল্লারপুর গ্রামের ইব্রাহিম মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে হেফাজতে নিয়ে পুরো দলটির সন্ধান পায় পুলিশ। ইব্রাহিমের দেওয়া সূত্র ধরে পুলিশ শনিবার মুর্শিদাবাদের সালারের একটি লজে হানা দেয়।

সেখান থেকে দুই মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আলি শেখ ও জিয়ারুলকে ধরে। এছাড়া রতন শেখ ও বিপ্লব কর্মকার নামে দু’জনকেও ধরে। আলির বাড়ি গলসির শশঙ্গায়। জিয়ারুল ভাতাড়ের বামশোরের বাসিন্দা। রতনের বাড়ি সালারের তালেকপুর লেদুরিয়াপাড়ায়। বিপ্লবের বাড়ি সালারের তালিবপুরে। বিপ্লবের গহনার দোকান রয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৪ ভরি সোনা, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম রুপোর গহনা ও টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Like Us On Facebook