রাজ্যে চলছে কার্যত লকডাউন। প্রথম ১৫ দিনের বিধিনিষেধ পেরিয়ে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আরও ১৫ দিনের বিধিনিষেধ তথা আংশিক লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় দফার বিধিনিষেধে কিছু ছাড়ও দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমত ভেসে যাওয়ার মুখে বর্ধমানের ঐতিহ্যশালী ল্যংচা শিল্প।

বর্ধমানের শক্তিগড় থেকে গাংপুরের কাছাকাছি পর্যন্ত ২নং জাতীয় সড়ক বরাবর রাস্তার দুপাশেই রয়েছে অসংখ্য ল্যাংচার দোকান। সাধারণ সময়ে এই সমস্ত দোকানগুলিতেই ভিড় থাকে ঠাসা। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরেই এই মিষ্টির দোকানগুলিতে বিক্রি একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। একটা সময় যখন প্রায় প্রতি দোকানেই ১০-২০ জন কর্মী নিয়ে কাজ করেও চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না দোকানের মালিকরা এখন সেই সমস্ত দোকানে চলছে কর্মী ছাঁটাই। বিক্রি নেই, কিভাবে তাঁরা কর্মীদের টাকা দেবেন। ফলে ল্যাংচা শিল্পেও চলছে কর্মী ছাঁটাই। কর্মহীন শতাধিক মানুষ। সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে।

ল্যাংচার দোকানদাররা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার দোকান খোলার যে সময় দিয়েছেন তাতে তাঁদের প্রতিদিনের সংসার চালানোর খরচও উঠছে না। সবথেকে বড় বিষয় – এই দোকানগুলি নির্ভরশীল মূলত জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়ত করা যানবাহনের উপর। কিন্তু যেহেতু ট্রাক ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ, তাই এই দোকানগুলিতে খরিদ্দার নেই। যার জেরে কার্যতই মুখ থুবড়ে পড়েছে বর্ধমানের এই ল্যাংচা শিল্প।

Like Us On Facebook