খেলার মাঠ সংলগ্ন জমি দখল করার চেষ্টা চলছে, বুধবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগ করে একটি মিছিল বের করা হয় অন্ডালের খান্দরা গ্রামে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তার পাশে রয়েছে খান্দরা গ্রামের খেলার মাঠ। এই মাঠে একসময় এলাকায় সবচেয়ে বড় ফুটবল লিগের আসর বসতো। বর্তমানে মাঠটিতে ফুটবল, ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি খান্দরা হাইস্কুল, স্থানীয় অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুল ও কলেজের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও যাত্রা সহ রাজনৈতিক কর্মসূচিও হয়। মাঠ বাঁচাও মিছিলে উপস্থিত আশীষ ভট্টাচার্য, বাপ্পা সিংহা, শেখর বস্কিরা জানান, মাঠ সংলগ্ন সামনের অংশটি দখল করার চেষ্টা চলছে। কয়েকজন ব্যক্তির নির্দেশে সেখানে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। গ্রামবাসীদের বাধায় তা বন্ধ হয়েছে। জমিটি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। সামনের অংশটি ঘিরে দিলে মাঠ আয়তনে ছোট হবে, সেইসঙ্গে নষ্ট হবে মাঠের সৌন্দর্য। তাই মাঠ বাঁচাতেই ‘মাঠ বাঁচাও’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনভাবেই মাঠ দখল করা চলবে না বলে সাফ জানান তাঁরা।
এদিকে, মাঠ দখল করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে বৃহস্পতিবার পাল্টা দাবি করেন জমির মালিকদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন সরকার জানান, মাঠ ছেড়ে সামনের অংশে ১২ একর জমি রয়েছে যা ব্যক্তি মালিকানাধীন। এরমধ্যে ৩ একর জমি তাঁদের শরিকদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করেন স্বপনবাবু। সেই জমিতে মাটি কাটার কাজ করা হচ্ছিল। জমি দখল করার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তিনি পাল্টা জানান, যারা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে তাঁদেরই একাংশ এলাকায় জমি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। মাঠটির নীচের অংশ দখল করে ইতিমধ্যে বিক্রি করা দেওয়া হয়েছে। কাদের মদতে এ কাজ হয়েছে খান্দরা গ্রামের মানুষ তা জানেন বলে পাল্টা দাবি করেন স্বপনবাবু।