রবিবার বর্ধমান টাউন হলে বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চতুর্থ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বামেদের সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, বাম আমলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে স্বল্প আয়ের মানুষ সমবায়ের সুফল ভোগ করতে পারেনি। সিপিএমের কেষ্টবিষ্টুরাই সব ভোগ করত। কিন্তু বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সমবায়কে একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
যদিও তিনি এদিন উপস্থিত সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানান, কেবলমাত্র বড় বড় ব্যবসায়ীদের সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ দিলেই হবে না। বাস্তবিক অর্থে সমবায়কে তৃণমূল স্তরে পৌঁছাতে গেলে একেবারে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছেও সমবায় ঋণকে পৌঁছাতে হবে। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ফুটপাতে তেলেভাজার ব্যবসায়ী থেকে ঠোঙা তৈরি যিনি করেন, তাঁদের ঋণ দিতে হবে। তিনি বলেন, তারা কখনই ঋণের টাকা মেরে দেবেন না। কিন্তু এই ঋণের সুযোগ পেলে তাঁরা অনেক কিছু করতে পারবেন। আবেদন রেখে স্বপনবাবু বলেন, যে সমস্ত তাঁতি বাড়িতে পুরানো আমলের তাঁত নিয়ে কাজ করেন তাঁরা কোনো সমবায়ের সঙ্গেই যুক্ত নন, তাদেরও যাতে ঋণ দেওয়া যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন ওয়েষ্টবেঙ্গল স্টেট কোঅপারেটিভ ইউনিয়নের সহসভাপতি আশীষ চ্যাটার্জী এদিন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে পরিচালন বোর্ড গঠনের প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরেন।
অন্যান্যদের মধ্যে এদিন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, বিধায়ক এবং ওয়েষ্টবেঙ্গল স্টেট কোঅপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতি স্বর্ণকমল সাহা, বিধায়ক সমরেশ দাস, নার্গিস বেগম, সেখ শাহনওয়াজ, অলোক কুমার মাঝি সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত রজক প্রমুখরা। অমিতবাবু এদিন জানান, বাম আমলে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১১৭ কোটি টাকা। ক্রমাগত চেষ্টার পর তাঁরা ৬৩ কোটি আদায় করতে পেরেছেন। সম্প্রতি নার্বাড থেকে দেওয়া ৪০টি এটিএম, ২০০টি মাইক্রো এটিএম চালু করা হয়েছে।