মঙ্গলবার ১৩ দফা দাবিতে গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বামপন্থী কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আইন অমান্য ও জেল ভরো কর্মসূচি পালিত হল। কর্মসূচি নিয়ে এদিন যুদ্ধজয়ের সাফল্য তুলে ধরেছেন সিটুর জেলা সম্পাদক অরিন্দম কোনার থেকে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য আভাষ রায় চৌধুরীও। তাঁরা জানিয়েছেন, এদিন তাঁরা তাঁদের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন পুলিশের দুটি ব্যারিকেডকেই ভেঙে দিয়ে। তাঁরা চাইলে এদিন জেলাশাসকের অফিসও ঘেরাও করতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি।

রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েই এদিন আভাষ রায়চৌধুরী বলেন, প্রয়োজন হলে এর থেকেও বৃহত্তর আন্দোলন কিংবা জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করবেন। বস্তুত, এদিন বর্ধমান ষ্টেশন থেকে পুলিশের হিসাবে প্রায় হাজার তিনেক সমর্থক মিছিল করে আসেন কোর্ট কম্পাউণ্ডে। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে তারা ছুটে যান দ্বিতীয় ব্যারিকেডের দিকে। দ্বিতীয় ব্যারিকেডও তারা ভেঙে দেন অবলীলাক্রমে। আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার মত পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় কার্যত যুদ্ধজয়ের ঘোষণা করেন বাম নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার রীতিমত পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হলেও জেল ভরো কর্মসূচি হল না। পুলিশের দুটি ব্যারিকেড ভেঙ্গে পুলিশকে ঠেলে সরিয়ে দিয়েই এগিয়ে গেলেন আন্দোলনকারী বাম নেতৃত্বরা। জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেবার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু জেলাশাসক না থাকায় এদিন ক্ষীপ্ত বামপন্থীরা কার্জন গেটের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় মিনিট ১৫ রাস্তা অবরোধ করার পর তারা চলে যান। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও এদিন জেল ভরো কর্মসূচিতে বাদ সাধেন খোদ নেতারাই। তাঁরা জানিয়ে দেন, জেলাশাসককে একমাস আগেই তাঁরা এই স্মারকলিপি দেবার বিষয়টি জানালেও তিনি এদিন না থাকায় তাই জেল ভরো কর্মসূচি তারা করলেন না।



Like Us On Facebook