রবিবার আউশগ্রামের পিচকুড়ি গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়ে গেল। বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে সোমবারই গোটা ঘটনার তদন্ত এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাল বিজেপি। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে বিজেপির রাজ্যস্তরের একটি প্রতিনিধি দলও আসছেন বলে জানা গেছে। সোমবার আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা নিতাই চ্যাটার্জ্জী জানিয়েছেন, রবিবার বিকালে তৃণমূল পার্টি অফিসে কর্মীরা বসে থাকার সময় বিজেপি এবং সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গ্রেনেড জাতীয় বিস্ফোরক পার্টি অফিসের ভেতর ছুঁড়ে দেয়। তিনি জানিয়েছেন, আউশগ্রামে সিপিএম এবং বিজেপি জমি পেতেই গোটা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক সোমবার দাবী করেছেন, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক মৃত্যু ঘটলেও দ্রুততার সঙ্গে সেগুলি পাচার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার সকাল থেকেই গোটা পিচকুড়ি গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। অজানা আতঙ্কে এদিন গ্রামে বহিরাগত কাউকে দেখলেই ছুটে পালাতে শুরু করেছেন। গ্রামের কোনো মানুষই এই বিস্ফোরণের বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। এদিকে, সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিআইডি বোম্ব ডিসপোজাল গ্রুপের ৬ জনের একটি দল আসেন। তাঁরা বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করেন। পাওয়া গেছে বেশ কিছু কলের পাইপও। তার থেকেই অনুমান করা হচ্ছে সকেট বোমার মত কোনো তীব্র বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পোড়া সুতলি দড়ি যা হাতবোমায় ব্যবহৃত হয় তাও পাওয়া গেছে। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিন সিআইডির একটি দল পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা।