করোনা ভাইরাসের প্রতিশেধক কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দুর্গাপুরের স্কুল শিক্ষক চিরঞ্জীত ধীবর ভ্যাকসিন নেওয়ার ১০৪ দিনের মাথায় শারিরীক পরীক্ষার জন্য আইসিএমআর-এর ডাকে ফের ভুবনেশ্বর গেলেন। উল্লেখ্য, হায়দ্রবাদের ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে করোনার প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন’।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে চিরঞ্জীতবাবু ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতালে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছিলেন। চিরঞ্জীতবাবু কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক। তাঁর শরীরে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করছেন।১০৪ এবং ১৯৪ দিনের মাথায় তাঁর শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা এবং কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের পর শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরীক্ষা হবে। সেই মতো ১০৪ দিন পূর্ণ হচ্ছে ১০ নভেম্বর। সেইদিন চিরঞ্জীতবাবুর শরীরে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ পরবর্তী পরিক্ষা হবে। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় আসানসোল-জয়নগর ভায়া পুরী ট্রেনে আসানসোল রেলস্টেশন থেকে চিরঞ্জীতবাবু ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বর্ধমান ডটকমকে ফোনে চিরঞ্জীতবাবু বলেন, ‘আমার শরীরে করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের পর ১০৪ এবং ১৯৪ দিনের মাথায় দুটি অ্যান্টিবডি পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে ১০৪ দিনের পরীক্ষা রয়েছে ১০ নভেম্বর।’ জানা গেছে, কারও শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি থাকার মানে হল সেই ব্যক্তির করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।