বর্ধমান হাসপাতালে সক্রিয় ছিনতাই চক্র। রোগীর অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দিতে গিয়ে ধরা পড়লো এক ছিনতাইবাজ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্ত্বরে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা এক বয়স্কা মহিলাকে নকল টাকা দিয়ে সোনার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দিতে যায় দুই যুবক। ওই মহিলার মেয়ে দেখে ফেলেন বিষয়টি। চিৎকার শুরু করতেই দৌড়ে পালাতে যায় অভিযুক্তরা। তারমধ্যেই একজনকে ধরে ফেলে সিভিক পুলিশরা।
জানা গেছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে বর্ধমান হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন বছর পঞ্চান্নর অনিমা মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে ঝর্ণা, জামাই তরুণ ও এক আত্মীয়। অনিমাদেবীকে হাসপাতালের আউটডোরে ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে ঝর্ণাদেবী তাঁকে হাসপাতালের একটি জায়গায় বসিয়ে স্বামীকে ডাক্তার দেখাতে যান। স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরে এসে ঝর্ণাদেবী মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তারপর তিনি দেখেন একটু দূরে একটি নির্জন জায়গায় মায়ের সঙ্গে কথা বলছে দুই অপরিচিত ব্যক্তি। ঝর্ণাদেবীকে আসতে দেখেই ওই দুই ব্যক্তি অনিমাদেবীর হাতে একটি প্যাকেট গুঁজে দিয়ে তাঁর কানের দুল দুটি নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। অনিমাদেবীর চিৎকারে আশপাশের মানুষজন ও কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটে আসেন। সিভিক পুলিশ দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে একজনকে পাকড়াও করে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসে। ঝর্ণাদেবীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
অনিমাদেবী জানিয়েছেন, ওই দুই অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে এসে বলে জামাই পাঠিয়েছে। জামাইয়ের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। সোনার দুল দুটি দিয়ে টাকা দেবে বলেছিল। রাজি না হওয়ায় জোর করেই দুল নিয়ে টাকার বান্ডিল দিচ্ছিল। ঝর্ণাদেবী বলেন, মাকে ভুল বুঝিয়ে টাকার বান্ডিল বলে যা দিচ্ছিল সেটির দুদিকে দুটি ১০০ টাকার নোট ছিল। ভিতরে সব টাকার মাপে সাদা কাগজ ভরা ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমানের কাঞ্চননগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এর আগেও একইভাবে প্রতারিত করেছিল বর্ধমান শহরেরই এক বাসিন্দাকে। ছিনতাই, প্রতারণা সহ নানবিধ সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ওই ব্যক্তি এর আগেও ধরা পড়েছিল।