লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সমাজের বুদ্ধিজীবিদের পাশে পেতে বিশেষ কর্মসূচী নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি। সোমবার বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হল ‘এডুকেশন সিনারিও অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল,পাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউচার প্রস্পেকটস’ শীর্ষক আলোচনা সভা। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য কমিটির নেতা সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারী, জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অনান্যরা।

এদিন প্রকাশ জাভড়েকর রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অভিনন্দন এখন দেশপ্রেমের নাম। এফ ১৬ ধ্বংস করার পর অভিনন্দন মানে হচ্ছে দেশপ্রেম ও অদ্ভুত সাহস। আমাদের বাযুসেনা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৮০ কিমি ভিতরে ঢুকে যে পরাক্রম দেখিয়েছে তা নিয়ে দেশবাসী গর্বিত। পাকিস্তান ঘাবড়ে গেছে, কি করবে বুঝতে পারছে না। সেখানে মমতা ও বাকি বিরোধীরা একদিনের জন্য সেনাকে সাবাসী দিলেও সেনাকে সাবাসী দেওয়ার বদলে প্রমাণ চাইছে। যেখানে পাকিস্তান পর্যন্ত মানছে যে ১২ টি প্লেন আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। কিন্তু মমতা ও বাকি বিরোধীরা মানছে না। প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময়ও প্রমাণ চেয়েছিল, কিন্ত ভিডিও আসার পর চুপ হয়ে গিয়েছিল। সেনাকে অপমাণ করার জন্য দেশের জনতা এদের ক্ষমা করবে না। প্রমাণ দেশের জনতা আগামী দুমাসের মধ্যেই দেবে।

কেন্দ্র সরকার শিক্ষার জন্য সমস্ত রাজ্যকে সমানভাবে টাকা দিচ্ছে। সেখানে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে সপ্তম পে কমিশন চললেও রাজ্যে পঞ্চম পে কমিশন চলছে। এই বিষয়ে তিনি সরাসরি মমতা ব্যানার্জীকে দায়ী করে বলেন, ‘ওখানে বিজেপির সরকার আছে আর এখানে মমতার সরকার। এখানে অনেক শিক্ষক ও প্যারা টিচারদের ৪-৫ হাজার টাকায় কাজ করানো হচ্ছে। কেন্দ্র এক একজন শিক্ষকের আলাদা আলাদা শ্রেণির জন্য ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সব রাজ্যকে সমানভাবে দেয় এখানে রাজ্য সরকার দেয় না। কৃষকদের উন্নতির জন্য ৬ হাজার টাকা একবছরে দেওয়ার যে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী সেই টাকা দেওয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জী এখানকার চাষীদের নামের তালিকা পাঠাচ্ছেন না। যেখানে কৃষকদের নাম ও অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাঠাতে হয়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে কৃষকদের চাপে পড়ে তিনি নাম পাঠাতে বাধ্য হবেন।


বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের কর্মীরা এদিন পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনা দূর করতে প্রকাশ জাভড়েকরের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

Like Us On Facebook