আলুবীজ উৎপাদনে পাঞ্জাবের ওপর নির্ভরতা কাটাতে উদ্যোগী হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। আলু বীজ চাষিদের সরবরাহের পাশাপাশি রাজ্যকে বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর করতে চাষিদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে তারা। এরফলে পাঞ্জাবের নামে জাল আলুবীজ বিক্রি বন্ধ হবে, আলু চাষে খরচও কমবে বলে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
রাজ্যের আলুচাষের বেশিরভাগটাই পাঞ্জাবের বীজের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদার কারণে সেই বীজের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়। আবার অনেক সময় চড়া দাম দিয়ে নকল বা নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত হন চাষিরা।
রাজ্যের চাষিদের কম দামে উন্নত আলুবীজ সরবরাহ করতে তিন বছর আগে উদ্যোগী হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। সেন্ট্রাল পোটাটো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে মউ সাক্ষর করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ফার্ম। সেই চুক্তি অনুযায়ী ব্রিডার সিড পায় বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে ফাউন্ডেশন সিড তৈরি করে তা চাষিদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এতদিন শুধু জ্যোতি আলু বীজ তৈরি হলেও এবার জ্যোতির সঙ্গে চন্দ্রমুখীর বীজও তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেইসঙ্গে বীজের উৎপাদন বাড়াতে ২৫ জন বীজ চাষিকে বেছে নিয়ে দেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের এনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা এদিন জানান, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরণের কাজের জন্য সমস্ত রকমের পরিকাঠামো রয়েছে। তাঁরা ইণ্টিগ্রেটেড ফার্ম তৈরী করতে চাইছেন। এব্যাপারে কৃষিমন্ত্রীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি পরিকল্পনাও তুলে দেওয়া হয়েছে।