দু’ধাপ পিছিয়ে এবার ৮৭ নম্বর স্থানে নাম উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের। শুক্রবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক’ (এনআইআরএফ) প্রকাশিত তালিকায় দেশের মধ্যে ৮৭ নম্বরে নাম থাকলেও রাজ্যের নিরিখে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা বলেন, ‘সবার মিলিত সহযোগিতার জন্য টানা কয়েক বছর ধরে আমরা দেশের প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিজেদেরকে ধরে রাখতে পেরেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় দেশে ৯৬ স্থানে ছিল। গত বছর এনআইআরএফ যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে র্যাঙ্ক হয়েছিল ৮৫, নম্বর । আর শুক্রবার এনআইএফআরের তালিকা অনুযায়ী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৮৭ নম্বরে। তবে গত বছরের চেয়ে নম্বর বেড়ে হয়েছে ৪২.৪২। নম্বর বাড়ার পরেও দু’ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা বলেন, কার্যত একই ধাপে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। গত কয়েক বছরে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেশে হয়েছে। গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে তাদের পরিকাঠামো অনেক উন্নত। সে জন্যে নম্বর বাড়লেও দু’ধাপ নেমে যেতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, এনআইআরএফ মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যে সব বিষয় পড়ানো হয় তার উপরেই মূল্যায়ণ করে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন বিষয় ও আইনে স্নাতকের পড়ুয়ারাই পড়াশোনা করে থাকেন। এ ছাড়াও এনআইআরএফ গবেষণার পরিকাঠামো ও গবেষণাপত্র প্রকাশের উপরেও মূল্যায়ণ করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরির দাবি, ‘এনআইআরএফ মূলত বিভিন্ন পোর্টাল ও ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করে। এ বার গবেষণাপত্রে ‘পেটেন্ট’ পাওয়া, গবেষণা কেন্দ্রের গুণগত মান ও তার ফল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভাল করেছে।’