কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই একের পর নানান ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এরই পাশাপাশি আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে স্কুল খোলার নির্দেশিকাও জারী করা হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে রীতিমত আতঙ্ক দেখা দিল বর্ধমান শহরের রাজ কলেজিয়েট হাইস্কুলে। রাজ আমলের ভবন হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় স্কুল ভবনের জায়গায় জায়গায় ভেঙে পড়ছে চাঙর, খসে পড়ছে পলেস্তারা। ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে স্কুলের ছাত্র থেকে অভিভাবক মহলে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুললেও তাঁদের স্কুল কিভাবে চালু হবে বুঝে উঠতে পারছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
জানা গেছে, স্কুল ভবনটি পুরনো। ফলে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ছে চাঙর, খসে পড়ছে পলেস্তারা। সরকারি নির্দেশিকা মেনে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুললেও তাঁদের স্কুল কিভাবে চালু হবে বুঝে উঠতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জানা গেছে, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে স্কুল বিল্ডিং বাঁচানোর আর্জি নিয়ে পোস্টার লিখে, হাতে মাইক সহ রাস্তায় নামলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার স্কুল গেটের সামনে রীতিমতো মাইকিং করে, পোস্টার নিয়ে স্কুল বাঁচানোর কাতর আর্জি জানালেন তাঁরা।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলতে হবে। নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হওয়ার কথা সেদিন থেকেই। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে চিন্তিত তাঁরা। মাঝে মধ্যেই চাঙর খসে পড়ায় তাঁদের ছেলেদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় পঠন-পাঠন কি আদৌ শুরু করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক সকলের মধ্যে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার বিষয়ে তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। স্কুলের এক অভিভাবক ইসরায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, সরকার স্কুল খোলার কথা বলেছেন। কিন্তু স্কুলের যা অবস্থা তাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে রীতিমত ভয় পাচ্ছেন। দুর্ঘটনার আতঙ্ক তাড়া করছে তাঁদের।