‘আমি বাংলার জন্য কিছু করতে চাই। বাংলায় নিউরো সার্জারির চিকৎসক অত্যন্ত কম। তাই ভবিষ্যতে বাংলার জন্য নিউরোর চিকিৎসক গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে চাই।’ মঙ্গলবার সতীর্থদের বরণপর্বের পর একথা জানালেন ন্যাশানাল ইন্সিটিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের পোষ্ট এমবিবিএস ডিএম (নিউরোলজি) প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ছাত্র মহম্মদ সামিম মন্ডল। জানা গেছে, এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল প্রথম চারজন এমডি বা এমএস না করেই ডিএম পড়ার সুযোগ পান।
চলতি বছরের ২৫ মার্চ সারা ভারতব্যাপী এই প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। সোমবার এই পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। ফল বের হতেই বাজিমাত করল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র হাওড়ার বাসিন্দা সামিম। একেবারে উপন্যাসের মতই সামিমের এই উত্থান ও সাফল্যের পর্ব। বাবা, মা সহ ৩ ভাইবোনের সংসার। বাবা হবিবুর রহমান মণ্ডল এবং মা রেহেনা বেগম জরির কাজ করে কোনোরকমে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করেছেন। ছোট থেকেই মেধাবী সামিমের জন্য দাদা দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ভাইকে মানুষ করতে তাই নিজের আখের গোছানো হয়ে ওঠেনি। আজ সেই ভাইই গোটা বাংলার গর্ব হয়ে উঠেছে। সামিম জানিয়েছেন, আল আমিন মিশন থেকে পড়াশোনা করার পর ২০১১ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আসে এমবিবিএস করতে। ২০১৬ সালে গোল্ড মেডেল নিয়ে এমবিবিএস পাশ করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইন্টারশিপ করে। আর তারপরেই এই সাফল্য।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরেও এই ধরণের সাফল্যের কোনো নজীর নেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই সামিমের সাফল্যে খুশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র থেকে শিক্ষকরা। এদিন সামিম জানিয়েছেন, বাংলায় ফিরে এসে ভাল চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে মেলে ধরতে চান।