বর্ধমানে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের কুলারী জ্যোতিপল্লী এলাকায় ৩ তৃণমূল কর্মীর বাড়ির উঠোন থেকে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাপানউতের। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তিন তৃণমূল কর্মীর বাড়ির উঠোনে বোমা মেলায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা তাঁদের বাড়ির উঠোনে বোমা দেখতে পান। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।

গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন হালদার জানিয়েছেন, সকালে নাতিদের নিয়ে বসে থাকার সময় ওই বোমা দেখতে পান। গ্রামবাসী বাবলু বিশ্বাস বা নারায়ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, অন্যান্যদিন তিনি অনেক দেরীতে ঘুম থেকে ওঠেন। কিন্তু এদিন পয়লা বৈশাখের পুজো দেওয়ার জন্য সকালে উঠে বাড়ির সামনে বোমা পড়ে আছে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশী এবং পাড়ার ক্লাবের ছেলেদের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে তিনটি বাড়ি থেকেই বোমাগুলিকে উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁর বাবা তৃণমূল করেন। এমনকি বাকি যাঁদের বাড়িতেও বোমা পাওয়া গেছে তাঁরাও প্রত্যেকে তৃণমূল করেন। বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতেই এই বোমা রাখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যারা শান্তি চায়না তারাই এমন করেছে। তিনি তাঁদের বাড়ি ছাড়াও এদিন বোমা রাখা হয়েছে চন্দন হালদার এবং পরিমল সরকারের বাড়িতেও।

এদের মধ্যে একজন দলের অঞ্চল সহ সভাপতি অন্য দুজন দলেরই কর্মী। বৈকুন্ঠপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে লোকজন এনে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করতে চাইছে বিজেপি। বেছে বেছে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে বোমা রেখে অশান্তি করতে চাইছে। দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, বোমা রেখে এলাকাকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে চাইছে বিজেপি। এভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। অন্যদিকে বিজেপির বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী রাধাকান্ত রায় জানিয়েছেন, পুলিশ এর তদন্ত করুক। দোষীদের গ্রেফতার করুক। বিজেপি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা মোটেও জড়িত নয়।

Like Us On Facebook