দামোদরের জলে ভাসছিল এক যুবকের দেহ। তা দেখে ভিড় জমে যায় বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের তীরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ‘মৃতদেহ’ উদ্ধার করতে পৌঁছে যায় বর্ধমান থানার পুলিশও। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে দেহ তুলতে যায় পুলিশ কর্মীরা। আর পুলিশ দেখেই উঠে বসল ‘মৃতদেহ’! এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সদরঘাটে উপস্থিত বাসিন্দারা।
শনিবার বিকেল। দামোদরের তীরে ঘুরতে যাওয়া এলাকার কয়েকজন লক্ষ্য করেন তীরের কাছে ভেসে রয়েছে যুবকের দেহ। নড়াচড়া নেই। চোখ বোজা। দেহে পোশাকটুকুও নেই। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ভিড় জমে যায়। অনেকেই মৃতদেহ ভেবে হাত না দিয়ে বর্ধমান থানায় খবর দেয়। দ্রউত পৌঁছে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। স্থানীয় যুবকদের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারে সচেষ্ট হয় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে কয়েকজন ওই যুবকের দেহ টেনে পাড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
এরপর রীতিমতো ভিমড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা পুলিশ সহ উপস্থিত সকলের। সোজা হয়ে বসলো ‘মৃতদেহ’। এরপরই পুলিশ দেখে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা দু-চার ঘা দিয়ে এলাকা ছাড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত দু’ঘন্টা দামোদরের জলে স্থির হয়ে পড়ে ছিল ওই যুবক। সবুজ শ্যাওলায় মাখামাখি। তাই নিশ্বাস নিচ্ছে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছিল না। ওই অবস্থাতেই ভাসছিল সে। বাসিন্দারা বলেন, ওই যুবক যে বেঁচে রয়েছে সেটা স্বস্তির। হয়তো মজা করার জন্যই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এই ধরণের মস্করা কখনই কাম্য নয়। অনেকেই দামোদরের তীর থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পায়নি। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।