কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের পর এবার প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হতে চলেছে যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি। মঙ্গলবার নতুন এই অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির কাজ খতিয়ে দেখতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ঘুরে গেলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ৩ প্রতিনিধি। এদিন দুপুরে রাজ্য যক্ষ্মারোগ দপ্তরের এসটিও তথা অ্যাসিস্ট্যাণ্ট ডিএইচএস ডা. শান্তনু হালদার, রাজ্য জয়েণ্ট ডিএইচএস ও ডিরেক্টর এসটিডিসি ডা. ব্রজগোপাল সাহা এবং ডেপুটি ডিরেক্টর এসটিবি ডা. বরুণ সাঁতরা নতুন এই পরীক্ষাগার নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সুকুমার বসাক সহ হাসপাতাল সুপার ডা. উৎপল দাঁ, ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা, জেলা এ্যাসিস্ট্যাণ্ট সিএমওএইচ (যক্ষ্মা) ডা. সেখ ময়ারফ আলি প্রমুখদের নিয়ে বৈঠকও করেন। পরে নির্মীয়মাণ পরীক্ষাগারের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। ডা. শান্তনু হালদার জানিয়েছেন, এই ধরণের উন্নত মানের যক্ষ্মারোগ সম্পর্কিত পরীক্ষাগার রয়েছে কলকাতার বেলেঘাটায় এবং উত্তরবঙ্গে। রাজ্যের মধ্যে এই দুটি জায়গার পর বর্ধমান জেলায় এই প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এজন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান ছাড়াও এই ধরণের একটি পরীক্ষাগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদেও। তিনি জানিয়েছেন, এই অত্যাধুনিক পরীক্ষাগার তৈরি হলে কেবলমাত্র বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসা রোগীরাই উপকৃত হবেন তা নয়, বর্ধমান জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিরও উপকার হবে। কারণ এতদিন এই রোগের জটিল পরীক্ষার জন্য নমুনা কলকাতায় পাঠাতে হত। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু হত। কিন্তু এই আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি হয়ে গেলে এখানেই সমস্ত ধরণের জটিল পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এদিন বর্ধমান হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা এবং যক্ষ্মা বিভাগের আধিকারিক সেখ ময়ারফ আলি উভয়েই জানিয়েছেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর যক্ষ্মারোগীদের চাপ রয়েছে। যদিও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে সিবি ন্যাট মেশিন। যার মাধ্যমে ১৬জন রোগীর একসঙ্গে নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এমনকি এই মেশিনের মাধ্যমে ২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা রিপোর্টও পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আরও কিছু জটিল নমুনা পরীক্ষার জন্য নমুনা কলকাতায় পাঠাতে হত। সেক্ষেত্রে গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৬০০ নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠাতে হত। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই অত্যাধুনিক পরীক্ষাগার তৈরি হলে কেবলমাত্র সরকারি ক্ষেত্রের রোগীরাই নয়, বেসরকারী রোগী ও প্রতিষ্ঠানও এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
Like Us On Facebook