শহর কলকাতা ছাড়িয়ে এবার জেলাতেও স্বতঃস্ফূর্ত মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার শিবির। সৌজন্যে পূর্ব বর্ধমানের ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর। বুধবার দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল মরণোত্তর দেহদান ও রক্তদান শিবির। দেহদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ সমিতির তিন কর্মাধ্যক্ষ। এদিনের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, বর্ধমান থানার আইসি তুষারকান্তি কর, ব্লকের বিভিও দেবদুলাল বিশ্বাস প্রমুখ।
জেলা শাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, এতদিন মেট্রোপলিটন সিটি গুলিতেই মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত রাজ্যের মধ্যে এক মাত্র বর্ধমান জেলাতেই এত বড় মাপের মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার শিবিরের আয়োজন করা হল। যে শিবিরে খোদ জনপ্রতিনিধিরা অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন। যা প্রশংসার দাবি রাখে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারের নজীর সৃষ্টি করল বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতি। এদিনের শিবিরে ১০ জন মহিলা সহ মোট ২২ জন মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন। এখানে দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক সহ তিন কর্মাধ্যক্ষ। এতদিন শুধু ঘটা করে রক্তদান শিবির আয়োজন হতেই দেখা গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এমন আরও শিবির আয়োজনের প্রয়োজন আছে। সভাধিপতি বলেন, জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও এমন শিবির আয়োজনের ভাবনা ছড়িয়ে দিতে হবে।
বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক জানান, সাধারণ মনুষ এখনও দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পিছপা হন। সমাজের মানুষের স্বার্থে এমন শিবির আয়োজনের প্রয়োজন ছিল। সধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে তিনি এবং সমিতির তিন কর্মাধ্যক্ষ মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন। পাশাপাশি এদিন রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল। শিবিরে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি রক্তদান করেছেন বলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন।