ফের বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহরের ১২নং ওয়ার্ডের নীলপুর এলাকা। উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর, পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে। উভয়পক্ষের সংঘর্যে প্রায় ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার এদিন জানিয়েছেন, দিনের আলোয় বের হতে ভয় পাওয়া গুটিকয়েক বিজেপি কর্মী শনিবার রাতে নীলপুরে তাঁদের অফিস ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী প্রতিবাদ করায় তাঁদের লাঠি, রড, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়।এই ঘটনায় ৩ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেও বেচারহাট এলাকায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, নীলপুর এলাকায় বিজেপির সঙ্গে কোন মানুষ না থাকায় তাঁরা ভয়ের সঞ্চার করে এলাকায় সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করতে চাইছে। এটা তাঁরা বরদাস্ত করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে এদিন বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন, রবিবার মোদিজীর মন কি বাত কর্মসূচির জন্য নীলপুর এলাকায় যখন রাত্রিবেলায় বিজেপির কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন সেই সময় অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় ৭০-৮০জন। বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি জগন্নাথ দাসের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, উল্টে পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় অন্যায়ভাবে। শুভমবাবু জানিয়েছেন, বিজেপির স্থানীয় একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তা পুড়িয়েও দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে যেতেই হিংস্র হয়ে উঠেছে তৃণমূল নেতারা। তাই পরিকল্পিতভাবেই তাঁরা গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপির মোকাবিলা করতে না পেরে হামলা চালানোর কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। যদিও এদিন শুভম নিয়োগী তৃণমূলের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, শনিবার রাতে বিজেপির প্রায় ৭ জন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় জেলা নেতৃত্বের কোন সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগে রবিবার সকালে বিজেপির সদর কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা। যাকে ঘিরে রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এক চিত্রসাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।