উন্নত নাগরিক পরিষেবার দাবি, সাংসদ তহবিলের কাজে বাধাদান ও জন কল্যাণমূলক কাজে কাটমানি আদায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে শুক্রবার আসানসোল পুরসভা ঘিরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়৷ বিজেপির এদিনের কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় আসানসোল বাজার এলাকা৷ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পুরসভার দিকে যেতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশের লাঠিচার্জের পাল্টা বিজেপি কর্মীরা ইটবৃষ্টি করলে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ঘটনায় ১৬ জন বিজেপি কর্মী এবং ৬ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়।

বিজেপির এই কর্মসূচির জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়৷ পাশাপাশি পুরসভাকে কেন্দ্র করে চারদিকে শহরে মোট ৭টি ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়৷ গীর্জা মোড় থেকে পুরসভার মূল ফটকের দিকে দুটি ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয় ৷ অন্যদিকে এদিন আসানসোল পুরসভার পক্ষ থেকে পুরসভা প্রাঙ্গণে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়৷

বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ গীর্জা মোড় থেকে পুরসভার দিকে যুব মোর্চার নেতা অরিজিত রায়, বাপ্পা চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে এক বিশাল মিছিল এগিয়ে আসে৷ সেই মিছিল প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে এবং দ্বিতীয় ব্যারিকেডও ভেঙে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে৷ বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। প্রাথমিকভাবে বিজেপি সমর্থকেরা পিছু হটলেও দ্বিতীয় দফায় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি ও পুলিশের দিকে বোতল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ৷ এর ফলে কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়৷ এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়৷ পাশাপাশি জল কামানও প্রস্তুত রাখা হয়৷ পুলিশের লাঠিতে কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়৷

পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, ‘আমরা আগে থেকে অনুমতি নিয়ে এদিন পুরসভায় স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের সমর্থকদের আটকে দিলে পুলিশের সঙ্গে আমাদের কর্মীদের বচসা হয়। হঠাৎই পুলিশ বেধড়ক লাঠি চার্জ করতে শুরু করে। পাশাপাশি পুরসভা প্রাঙ্গণে রক্তদান শিবিরের নামে তৃণমূলের গুন্ডারা জড়ো হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে তারাও আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করে ব্যাপক মারধর করে। আমাদের ১৬ জন কর্মী ঘটনায় আহত হয়েছে।’

আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘হাসপাতালে রক্ত সঙ্কটের কারণে এদিন পুরসভায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। বিজিপি পরিকল্পিত ভাবে রক্তদান শিবির বানচাল করতে এদিন ঝামেলা পাকায়। ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতিদের নিয়ে এসে বিজেপি এখানে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আসানসোল পুরসভা নিরপেক্ষভাবে চলে। এখানে কোন দূর্নীতি নেই। এদিন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তান্ডবে অনেক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।’

বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?


Like Us On Facebook