বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার হাবরাপাহাড়ী গ্রামে শুটআউটে জখম বীরভূমের ডোলকাটা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ধনা হাঁসদাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক খাদান শ্রমিকের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন এবং কিজন্য এই শুটআউট তা নিয়ে ক্রমশই রহস্য দানা বাঁধছে।

আহত শিক্ষকের আত্মীয় রঞ্জিত হেমব্রম জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ অচেনা এক ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে ধনা হাঁসদার বাড়িতে আসেন। এমনকি ওই ব্যক্তি ধনা হাঁসদার বাড়িতে বসে ভাতও খায় বলে জানিয়েছেন রঞ্জিত হেমব্রম। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় ধনা হাঁসদা এবং ধানু সেখ গ্রামের একটি ক্লাবঘরে বসে গল্প করছিলেন। ওই অচেনা ব্যক্তির আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় ধনা হাঁসদার বাড়ি থেকে ধনা হাঁসদাকে সেই সময় বাড়ি ফিরতে নিষেধ করা হয়। রঞ্জিত হেমব্রম জানিয়েছেন, কিন্তু সন্ধ্যা প্রায় ৭টা বেজে যাওয়ায় ধনা হাঁসদা তাঁর বন্ধু ধানু সেখকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তখনও সেই অচেনা ব্যক্তি ধনা হাঁসদার বাড়িতে থাকায়, তাঁকে জোর করেই বাড়ি থেকে বার করেন ধনা হাঁসদা এবং ধানু সেখ। রঞ্জিত হেমব্রম জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে কিছুটা এগিয়ে যেতেই ওই অচেনা ব্যক্তি প্রথমে গুলি করেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ধানু সেখকে। তিনি লুটিয়ে পড়তেই গুলি করেন ধনা হাঁসদা। রঞ্জিত হেমব্রম জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন ঘটনাস্থলেই ধানু সেখের মৃত্যু হয়। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধনা হাঁসদাকে প্রথমে সিউড়ি এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ধনা হাঁসদার পেটে গুলি লাগে। সিউড়ি হাসপাতালেই তাঁর গুলি বের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রঞ্জিত হেমব্রম। অন্যদিকে, মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিক্ষক ধনা হাঁসদা জানিয়েছেন, যিনি গুলি করেছেন তাঁকে চেনেন না। কোনদিন দেখেননিও। কি কারণে গুলি করল তাও তিনি জানেন না। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ধনা হাঁসদার অবস্থা স্থিতিশীল।

Like Us On Facebook