ত্রিমুখী উৎসব আর কর্মসূচীতে বছরের প্রথম দিনটি কাটল হৈ চৈ করেই। একদিকে, ধর্মীয় স্থানগুলিতে কোথাও বর্ষবরণের পুজো দেওয়া তো কোথাও আবার কল্পতরু উৎসব পালন। অন্যদিকে, বছরের প্রথম দিন তাও আবার রবিবার, ফলে নদীর ধার থেকে পিকনিক স্পটগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। এর সঙ্গে একসূত্রে মিলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন। ফলে সবমিলিয়ে রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়ার গোমড়া ভাব কিংবা সূর্যদেবের সরাসরি দেখা না মিললেও তাকে তোয়াক্কা না করেই শীতের জবুথবু ভাব কাটিয়েই গোটা দিনটিকে হৈ হৈ করে কাটালো সাধারণ মানুষ।
এদিন বর্ধমান জেলার বিভিন্ন রামকৃষ্ণ আশ্রমগুলিতে কল্পতরু উৎসব পালিত হয়। পাশাপাশি রবিবার সকাল থেকেই বর্ধমানের দামোদর নদের চড়ে পিকনিকের ঢল নামে। পিকনিক করতে আসা দলগুলিতে কোথাও ঘুগনি মুড়ি, আবার কোথাও চপ, বেগুনি দিয়ে মুড়ি, বিরিয়ানি , মাংস-ভাত খাওয়ার তোড়জোড় চোখে পড়েছে। তার সঙ্গে চলেছে সাউণ্ড বক্স বাজিয়ে নাচাগানা। কচিকাঁচারা দামোদরের চড়েই চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছে। এরই মাঝে দেখা মিলেছে একেবারে চড়ুইভাতি স্টাইলেই কাঠ জ্বেলে রান্না করতে। দামোদর সহ বর্ধমান শহরের পুরসভার লাকুর্ড্ডি জলকল মাঠেও জমে উঠেছে পিকনিক।
অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। বাংলার নববর্ষের মতই ইংরেজী নববর্ষের সূচনাতেও পুজোর দেওয়ার জন্য ভিড় ছিল নজরকাড়া। বাদ যায়নি বর্ধমানের মিনি-জু রমনা বাগানও। এখানেও কচিকাঁচাদের নিয়ে চিড়িয়াখানা দেখতে ভিড় উপচে ওঠে। অন্যদিকে, ইংরাজী নববর্ষের প্রথম দিনেই লাভের মুখ দেখল বর্ধমানের একাধিক সিনেমা হলও। প্রজাপতি, হামি-টু, বল্লভপুরের রূপকথা, অবতার, হত্যাপুরী সহ সমস্ত ছবিও এদিন হাউসফুল ছিল। জায়গায় জায়গায় সিনেমাপ্রেমীরা টিকিট না পেয়ে ফিরে এসেছেন।
এদিকে, নববর্ষ নিয়ে যখন এই উন্মাদনা তখন গোটা জেলা জুড়েই পাড়ায় পাড়ায় পালিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। জায়গায় জায়গায় শনিবার রাত্রি ১২টাতেই দলীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠা দিবসের সূচনা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে কোথাও রক্তদান শিবির আবার বর্ধমান ২নং ব্লকের সড্যা এলাকায় ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোনারের নেতৃত্বে দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিলি করা হয়েছে।