বর্ধমান শহরের সৌন্দর্য্যায়নকে ত্বরান্বিত করতে বর্ধমান পুরসভার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব ট্রেডার্স। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই সংগঠনের সম্পাদক চন্দ্রবিজয় যাদব জানিয়েছেন, গত ২৩ জানুয়ারি তাঁদের সঙ্গে বর্ধমান পুরসভার একটি আলোচনা হয়েছে। বর্ধমান শহরের রীতিমত জনবহুল এলাকা চৌধুরী মার্কেট থেকে তেঁতুলতলা বাজার, রাণীগঞ্জ বাজার থেকে কার্জনগেট পর্যন্ত রাস্তার দুপাশকে দখলমুক্ত করার বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এবিষয়ে সাংগঠনিকভাবে তাঁরা আলোচনা করে পুরসভাকে সবরকমের সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এব্যাপারে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান টাউন হলে বর্ধমান শহরের সমস্ত ব্যবসায়ী, হকার সহ পুরসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে কনভেনশন ডাকা হয়েছে।
চন্দ্রবিজয় যাদব আরও জানিয়েছেন, বর্ধমানের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় মসজিদের লাগোয়া ওয়াকফের জায়গায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই ভবনেই স্থান দেওয়া হবে তেঁতুলতলা বাজারের অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের। একইভাবে রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় ২ বিঘা জমির উপরও তৈরি করা হবে একটি ভবন। সেখানেই ব্যবসাদার সহ বিসি রোডের ফুটপাত দখল করে থাকা হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের বুক চিরে যাওয়া জিটি রোডে বন্ধ করে দেওয়া বিভিন্ন রুটের বাসকে পুনরায় চালুর প্রশ্নে পুরসভা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বর্তমানে জিটি রোড সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই রাস্তা সম্প্রসারণ হলে শহরের ভিতর দিয়ে ক্রিসক্রস বাস চালুর দাবিও মিটতে চলেছে বলে জানান তিনি।
যদিও এব্যাপারে বর্ধমান পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান খোন্দেকার মহম্মদ শাহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, বর্ধমানের চেম্বার অব ট্রেডার্সের সঙ্গে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে এব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বর্ধমান পুরসভা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নয়। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।