মাঠে দিন মজুরের কাজ করে উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯১ পেয়ে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করল বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা আদক। প্রিয়াঙ্কার বাবা বিমল আদক এবং মা ঝুমা আদক উভয়েই ক্ষেতমজুরের কাজ করেন। এক ভাই ও এক বোনকে নিয়ে আর্থিক অস্বচ্ছলতার ছাপ প্রিয়াঙ্কার পরিবারে। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেও সময় পেলেই ক্ষেতমজুরের কাজ করেছে প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার বাড়ি বর্ধমানের বংপুর চাষীমানা এলাকায়। মেয়ের এই সাফল্যে এদিন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিমল আদক।
বিমলবাবু জানিয়েছেন, সংসারের জোয়াল টেনে তিনি চেয়েছেন মেয়েকে পড়াশোনায় সাহায্য করতে। নিজের যা স্বপ্ন ছিল তা পূরণ হয়নি, তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে তাঁর সেই অধরা স্বপ্নকে পূরণ করুক। প্রিয়াঙ্কার এই সাফল্যে আজ তাঁর চোখে আনন্দাশ্রু। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছে, ভূগোল তার প্রিয় বিষয়। তার ভবিষ্যত লক্ষ্য ভূগোল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছে, মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫৯৫। এবারে উচ্চমাধ্যমিকের কলাবিভাগে তার এই সাফল্যে উৎফুল্ল স্কুলের শিক্ষিকারাও।
এদিন প্রিয়াঙ্কার এই সাফল্যের খবর পেয়েই বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশ সরকার প্রিয়াঙ্কার পড়াশোনার যাবতীয় খরচের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কার উচ্চ শিক্ষার জন্য সমস্ত খরচের তিনি ব্যবস্থা করবেন। পরেশবাবুর এই প্রতিশ্রুতিতে বিমল আদক রীতিমত আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছে, বর্ধমানেই সে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়।