খনিতে ব্লাস্টিংয়ের কারণে ছিটকে আসা পাথরে মাথা ফাটল এক স্কুল পড়ুয়ার। আহত পড়ুয়াকে স্কুল থেকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে এসে পড়ুয়াদের নিয়ে চলে যাওয়ায় বুধবার অঘোষিত ছুটি হয়ে যায় স্কুলে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের হরিশপুরে।
স্থানীয় মানুষ জানান, অন্যান্য দিনের মতো বুধবার হরিশপুর খনির কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এইসময়ে স্থানীয় হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কচিকাঁচাদের স্কুল চলছিল। এমনসময় খনি থেকে ছিটকে আসা পাথরে এক স্কুল পড়ুয়ার মাথা ফেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য আহত পড়ুয়াকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। স্কুলের পঠনপাঠন শিকেয় উঠে যায়। আতঙ্কিত অভিভাবকরা তড়িঘড়ি কচিকাঁচাদের স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে চলে যান। স্কুল কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়ায় বুধবার অঘোষিত ছুটি হয়ে যায়। এই ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ ক্ষোভে ফেটেন পড়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘এটা নিত্য দিনের ঘটনা। খনিতে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয় আর তার জেরে স্থানীয় এলাকাবাসীর উপর পাথরের টুকরো, ধুলো-বালি এসে পড়ে। বারবার ইসিএল কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও ইসিএল কর্তৃপক্ষ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে উদাসীন।’ স্থানীয় মানুষের দাবি, অবিলম্বে ইসিএল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় মানুষের পুনর্বাসন দিক। নাহলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ঘরে ফাটল ধরছে, ধসের আতঙ্ক গ্রাস করছে স্থানীয় মানুষজনকে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তাপস গোপও এলাকারবাসীর দাবিকে সমর্থন করেন।