বুদবুদ থানার অন্তর্গত মানকরের দক্ষিণরায় পুরে একটি মাটির বাড়ির ধ্বসে যাওয়া উঠোন থেকে বুদবুদ থানার পুলিশ এক পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল বৃহস্পতিবার। জানা গেছে, মৃতদেহটি স্থানীয় সমাজ বিরোধী বাপন বাউরির স্ত্রী বনলতা বাউরির (৩২)। বাপন বাউরির তিন স্ত্রী। বনলতা বাপনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বাপন কয়েকদিন ধরেই দুই স্ত্রীকে নিয়ে বেপাত্তা।
এদিকে বাপনের বাড়ির পাশে একটি বাড়ীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বাপনের বাড়ির পাশে মাটি কাটা শুরু হতেই সকলে লক্ষ্য করেন বাপনের বাড়ির পাশ থেকে ক্রমাগত দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। এই দেখে পড়শীদের সন্দেহ হওয়ায় বুদবুদ থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়লে একটি পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পড়শীদের অনুমান বনলতাকে খুন করে বাপন বাকি দুই স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট দিয়েছে এলাকা ছেড়ে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীরা বলেন, বনলতা তিন মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। বনলতার কথা জিজ্ঞাসা করলে বাপন বিভিন্ন অযুহাতে এড়িয়ে যেত। বনলতার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্কুলে সে তার মায়ের নির্মম মৃত্যুর কথা বলে দেওয়াতে বাপন দুই স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বাপনের পাশের বাড়িতে নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বাপনের বাড়ির মাটির নীচের অংশ কাটতেই প্রবল দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। এরপরেই বুদবুদ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে বনলতার মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পড়শীরা জানান, বনলতা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার পর সাংসারিক কাজকর্ম করতে না পারায় চরম অশান্তি শুরু হয়। পড়শীদের অনুমান অসুস্থ বনলতাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। পড়শীরা সমাজ বিরোধী বাপন সহ তার দুই স্ত্রীকেও গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।