মেরে রোগীর আত্মীয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত ওই আত্মীয় সামান্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও প্রয়োজন বোধ করেননি বলে অভিযোগ অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ঘটনা অনভিপ্রেত। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখছি।

উল্লেখ্য, বুদবুদ থানার সন্ধীপুরের বাসিন্দা হীরালাল মিদ্দাকে মঙ্গলবার বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্যানক্রিয়াসে স্টোন নিয়ে। আজ তাঁর অপারেশনের দিন ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দু’জন রক্তদাতা ও পরিবারের দু’জন মিলে সার্জারী ওয়ার্ডের গেটের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের মধ্যেই সেখ কওসর আলি তাড়াতাড়ির মধ্যে বাড়ি থেকে মাস্ক আনতে ভুলে যাওয়ায় মুখে রুমাল বেঁধে দাড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী মাস্ক নিয়ে প্রশ্ন করে তাঁকে গলা ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে দেয়। তার প্রতিবাদ করলে অপর এক নিরাপত্তাকর্মী লাঠী দিয়ে সজোরে কওসরের মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই লুঠিয়ে পড়েন কওসর। পরে আত্মীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনার পর রোগীর পরিজনেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে তাঁরা প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। পরে তাঁরা ঘটনার পূর্নাঙ্গ বর্ণনা জানিয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

Like Us On Facebook