নিজের নাতনিকে ব্যান্ডেজের গজ দিয়ে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ঠাকুমার বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ অস্বীকার ঠাকুমার।
জানা গেছে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা এলাকা থেকে প্রসব বেদনা নিয়ে শুক্রবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন পূজা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় পূজা যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সেই সময় হাসপাতাল উপস্থিত ছিলেন পূজার শাশুড়ি। অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতলের অন্যান্য রোগীদের নজরে আসে পূজার শাশুড়ি একটি কন্যা সন্তানের মুখে গজ চাপা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানানোর পরে ধরে ফেলা হয় তাঁকে। তাঁর হাত থেকে উদ্ধার করা হয় সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে। এই কন্যা সন্তানটিকে মেরে ফেলারই চক্রান্ত করেছিল বলে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান। জানা গেছে, বছর ছয়েক আগে পুরুলিয়ার পূজার বিয়ে হয় পাত্রসায়েরে। স্বামী পেশায় চাষী। তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। শুক্রবার আবার যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যদিও অভিযুক্ত মহিলা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। এব্যাপারে পূজাদেবীর বক্ড়ব্য জানা যায়নি।