বর্ধমান হাসপাতালের আউটডোরের বারান্দায় রাতে আশ্রয় নেওয়া এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক অ্যাম্বুলেন্স কর্মীর বিরুদ্ধে। বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই অ্যাম্বুলেন্স কর্মী রথিন বৈরাগ্যকে। সে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি অ্যাম্বুলেন্সের কর্মী। ধর্ষিতা ওই মহিলার স্বামী বর্ধমান হাসপাতাল চত্বরে একটি চায়ের দোকানের কর্মী।

ধর্ষিতার স্বামী জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তিনি দোকান বন্ধ করে মানসিক রোগে আক্রান্ত স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরের বারান্দায় মশারি টাঙিয়ে নিশ্চিন্তে শুয়ে পড়েন। তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির অমতে বিয়ে করায় স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে তিনি ভাড়া বাড়িতেই থাকেন। রাত্রিকালীন চায়ের দোকান খুলে রাখায় দোকান মালিক তাঁকে অতিরিক্ত অর্থও দেন। সেজন্য অধিকাংশ দিন তিনি রাতেও চায়ের দোকানটি খোলা রাখেন। রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন দোকানে। মানসিক সমস্যা থাকায় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে হাসপাতালের আউটডোরের বারান্দাতেই শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ স্ত্রীর চিৎকার শুনে তিনি উঠে পড়ে ভোলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করলে হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিশ এসে ভোলাকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁর স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

Like Us On Facebook