চাহিদা মতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনতে পারায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম অনন্যা ভট্টাচার্য। স্বামী কনস্টেবল দীপঙ্কর ভট্টাচার্য পলাতক। দীপঙ্কর শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতার বাবার।
বর্ধমানের বড়নীলপুরে ভাড়া বাড়িতে চার বছরে ছেলেকে নিয়ে থাকতো ওই দম্পতি। রবিবার রাতে সেখানে অনন্যার ঝুলন্ত অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার বর্ধমান পুলিশ মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়।
অনন্যার বাপের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ে। একই গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্করের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় অনন্যার। বিয়েতে পণ বাবদ দু লক্ষ টাকা, দশ ভরি সোনার গয়না ও আসবাব দেওয়া হয় বলে জানান মৃতার বাবা পঞ্চানন গাঙ্গুলী। পঞ্চাননবাবুর অভিযোগ, বিয়ের এক বছর পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার চাপ দেওয়া হতো। টাকা না দিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতো। পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে। পুজোর আগেও টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হয়। পনের হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর আরও টাকা দাবি করেছিল দীপঙ্কর। সেই টাকা দিতে না পারার জন্যই দীপঙ্কর শ্বাসরোধ করে অনন্যাকে খুন করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই ওই কনস্টেবলের কোন হদিশ নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।