রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী বর্ধমানে জানিয়ে গিয়েছিলেন রেশনে মাল দেওয়া নিয়ে কোন রকম দুর্নীতি বা অনৈতিক কাজ বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই রেশনে মাল বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বর্ধমান শহরের মেহেদিবাগান এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক রেশন দোকানের ওপরই খাদ্য দফতরের ভিজিলেন্স থাকবে। ৫টি রেশন দোকান পিছু একজন খাদ্য দফতরের অফিসার নিয়মিত নজর রাখবেন। কিন্তু তার পরেও রেশনে কারচুপির অভিযোগ উঠল বর্ধমান শহরে।
শনিবার সকাল থেকে রেশন দোকান থেকে মাল কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বর্ধমান শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মেহেদিবাগান এলাকার মানুষজন। খবর যায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছে। এরপর খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়। মেহেদিবাগানের রেশন ডিলার রেখা সামন্তের ম্যানেজার মানিক চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন শুক্রবার মাল কম দেওয়ার বিষয়টি। তিনি ভুল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই সেই ভুল তাঁরা শুধরে নিয়েছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, রেশন ডিলার রেখা সামন্ত নিজে রেশন দোকানে আসেন না। ম্যানেজার হিসাবে তিনিই চালান। এদিন এই রেশন দোকানের গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অনেকেরই মাথা পিছু ৭কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এই ৫ কেজি চাল তাঁরা অন্য জায়গায় গিয়ে মেপে দেখেছেন প্রায় ৪৫০ গ্রাম কম। এরপরই তাঁরা রেশন দোকানের ম্যানেজারকে জানান। কিন্তু তিনি প্রথমে তা মানতেই চাননি। আর শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতেই পুরো ভোল বদল হয় ম্যানেজারের। তিনি স্বীকার করেছেন ভুল হয়েছে। যাঁদের কম দেওয়া হয়েছিল তাঁদের বকেয়া চাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।