সোমবার ফের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেবার বর্ধিত দিন। ফলে তৈরি সকলেই। একদিকে প্রশাসনের ওপর বিরোধীদের চাপ অন্যদিকে শাসকদলের বাধাকে উপেক্ষা করে কিভাবে বিরোধী প্রার্থীরা সোমবার তাঁদের কাঙ্খিত মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারবেন তা নিয়ে বাড়ছে স্নায়ুর চাপও। শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও বাধার অভিযোগ তুলে গত কয়েকদিন ধরেই আদালত ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লড়াইয়ের পর শনিবার রাতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেয়েই শুরু হয়ে গেছে শাসক বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দেবার তোড়জোড়।
সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক জানিয়েছেন, তাঁরা তৈরি রয়েছেন মনোনয়নপত্র জমা দেবার জন্য। ব্লক থেকে মহকুমা শাসকের দপ্তরে বাধাদান করা না হলে তাঁরা বকেয়া সমস্ত আসনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন। জাতীয় কংগ্রেসের বর্ধমান জেলা সভাপতি আভাষ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো লড়াইয়ে যাবেন না। এখনও পর্যন্ত তাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ১৯টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ৯টি আসনে বৈধ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের বাধায় যে সমস্ত আসনে এখনও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি সোমবার সেগুলি দেবার বিষয়ে তাঁরাও তৈরি রয়েছেন। তবে কোথাও তাঁরা লড়াই করে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না।
বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, বর্ধমান সদর উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই মহকুমায় এখনও পর্যন্ত তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯৫টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ২৫৪টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ২৩টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি আসনে সোমবার তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেবার জন্য তৈরি রয়েছেন। এদিকে, বিরোধীরা যখন রীতিমত আশান্বিত হয়ে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেবার জন্য মানসিকভাবে তৈরি, সেই সময় জেলা প্রশাসনও তৈরি। কার্যত, রবিবার দুপুর থেকেই বর্ধমান সদরের দুই মহকুমা শাসকের অফিসকে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেবার ক্ষেত্রে তাঁরাও প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।