আগামী ২ জানুয়ারি বর্ধমানের জেলা কৃষি খামারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মাটি উৎসব। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির থাকবেন এক ডজন মন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আমলারাও। বৃহস্পতিবার মাটি তীর্থ কৃষি কথার এই উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গেলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার সহ কৃষি দপ্তরের অ্যাডিশনাল চীফ সেক্রেটারী সঞ্জীব চোপড়া, কৃষি বিপণন দপ্তরের চীফ সেক্রেটারী রাজেশ সিনহা সহ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও।
এদিন কৃষিমন্ত্রী জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেবার নির্দেশও দেন। তিনি জানান, গোটা রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন জেলায় জেলায় যে কৃষিমেলাগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে কালো চালের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই যোগান ঠিক থাকছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মাটি উৎসবে যাতে কালো চালের যোগান ঠিক থাকে তা দেখার নির্দেশ দেন। কৃষিমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যের কৃষক কূলের জন্য এই স্থায়ী মাটি উৎসবের প্রাঙ্গণ যাতে সারা বছরই কোনো না কোনো কৃষি সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত থাকে সেজন্য সরকারিভাবে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারী মাটি উৎসবের শেষদিনে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও আমলাদের নিয়ে এব্যাপারে চুড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে দিয়ে মাসে দুটি করে প্রশিক্ষণ শিবির করা।
উল্লেখ্য, এবছর প্রায় ১৫০ জনকে কৃষকরত্ন এবং স্বনির্ভরগোষ্ঠীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। মূল মঞ্চে এবছর থাকছে কন্যাশ্রী ও সবুজশ্রীর প্রচার। এদিন প্রদীপ মজুমদার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় মেশিনে ধান কাটার পর ধানের যে গোড়া পড়ে থাকছে তা তুলতে না পারায় চাষীরা তা পুড়িয়ে দিচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক এবং পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকরও। এব্যাপারে বারবার নিষেধাজ্ঞা জারী করেও লাভ হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই গোড়াগুলিকে তুলে তা ফের আঁটি বাঁধার মেশিন বেড়িয়েছে এবং তার দামও কম। মাটি উৎসবে ওই মেশিন প্রদর্শন ও বিপননের জন্য এদিন তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এবছর মাটি উৎসবে থাকছে ১০৪টি স্টল।