পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬টি পুরসভায় নির্বাচন হতে চলেছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, মেমারি, কালনা, দাঁইহাট, কাটোয়া এবং গুসকরা পুরসভায় নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই এই জেলার ৬টি পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে বামফ্রণ্ট প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। শুরুও হয়ে গেছে বামেদের প্রচার। আর এরই মাঝে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১০৮টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী নিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বর্ধমান পুরসভায় একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ আছড়ে পড়তে থাকে রাস্তায়। শনিবারও তা অব্যাহতই শুধু নয়, ঘোষিত ও পরিবর্তিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অন্য গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির জেরে নামাতে হল পুলিশের বিশাল বাহিনীকে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ওয়ার্ডে নির্দল তথা গোঁজ প্রার্থী খাড়া করতে শুরু হয়েছে পাল্টা আলোচনাও। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, রবিবারের মধ্যে এই প্রার্থী তালিকারও পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এখনও প্রার্থী নিয়ে চলছে চুলোচুলি।
এদিকে, বর্ধমান পুরসভার পাশাপাশি মেমারি পুরসভাতেও ৫ এবং ৯ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কালনা পুরসভার ১৩নং ওয়ার্ড এবং গুসকরা পুরসভার ১৬নং ওয়ার্ডেও প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূল প্রার্থীর নাম বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। জেলার বিভিন্ন পুরসভা থেকে এদিন নেতা কর্মীরা প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলা সভাপতির কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রার্থী তালিকা বদল না হলে অনশনে বসার হুমকিও দিয়েছেন কেউ কেউ। এদিকে, যখন প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছড়ে পড়ছে সেই সময় শনিবার বাগদেবীর আরাধনা সেরে প্রচারে বেড়িয়ে পড়েছেন বহু প্রার্থী। বর্ধমান পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনুপ আচার্য্য বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করে দেন। অপরদিকে, তৃণমূলের এই প্রার্থী তালিকা থেকে বর্তমান পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর মাত্র একজন উমা সাঁইকে টিকিট দেওয়া হলেও আর কাউকে টিকিট না দেওয়ায় গোটা শহর জুড়েই চর্চা শুরু হয়েছে।