বর্ধমান শহরকে টোটো ও হকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে এবার পথে নামছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার পৌরোহিত্যে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান সহ সমস্ত কাউন্সিলর, জেলা পুলিশ আধিকারিক, পরিবহণ দফতরের আধিকারিক, টোটো ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং হকার্সদের প্রতিনিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হল।
এদিন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার জানিয়েছেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে বর্ধমান শহরের মূল রাস্তায় টোটো ও হকার্সদের নিয়ে যে সমস্যা তা থেকে মুক্ত হবে। একইসঙ্গে শহরের বাইরে তথা পঞ্চায়েত এলাকার টোটোকে শহরের মধ্যে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরইসঙ্গে এই মূহূর্তে বর্ধমান শহরে কত টোটো চলছে তার সঠিক হিসাব না থাকায় পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডেই শুরু হচ্ছে নির্ণয় ক্যাম্প। প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ক্যাম্প করে সেই ওয়ার্ডের কত টোটো রয়েছে তা নথীভুক্ত করা হবে। পরেশবাবু জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রকৃত টোটোর মালিককেই টোটো চালাতে হবে। নাহলে টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও টোটোর সুষ্ঠ ব্যবহারের জন্য রাতে নীল রঙের টোটো এবং দিনে সাদা রঙের টোটো চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি আগামী শনিবার জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক, পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলররা কার্জন গেট থেকে রাজবাটী উত্তরফটক পর্যন্ত রাস্তায় হাঁটবেন। ফুটপাত সহ মূল রাস্তাকে দখল করে হকার্সদের ব্যবসা করার বিষয়টি তাঁরা তাঁদের বোঝাবেন। মূল রাস্তাকে ছেড়ে দিতে হবে। নিজের নিজের জায়গা ছাড়া অন্য জায়গায় কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।
এদিন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, প্রায় ৪ বছর আগেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু এদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১ মাসের মধ্যে বর্ধমান শহরকে টোটো এবং হকার যন্ত্রণা থেকে তাঁরা মুক্তি দিতে বদ্ধ পরিকর। খোকন দাস জানিয়েছেন, বহু দোকানদার নিজের দোকানকে গোডাউন বানিয়ে বাইরে হকারী করছেন। এটা করতে দেওয়া হবে না। তিনি জানিয়েছেন, রোগী ছাড়া পঞ্চায়েতের টোটোকে শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, টোটো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে কমবেশী বর্তমানে শহরে প্রায় ৭ হাজার টোটো চলাচল করছে। এর মধ্যে আগেই ২১০০ টোটোকে রেজিষ্টার্ড করা হয়ে গেছে। এরই পাশাপাশি এদিন খোকন দাস জানিয়েছেন, গোটা শহর জুড়ে পানীয় জলের লাইন করার জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে টেন্ডার ডাকা হয়ে গেছে। একযোগে ৩৫টি ওয়ার্ডেই ১৫দিনের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হতে চলেছে।