ঘুর্ণিঝড় জওয়াদের প্রভাবে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় আলু চাষে ভয়াবহ ক্ষতিই নয়, একইসঙ্গে চলতি বছরে গোটা জেলায় আলুর উৎপাদন যথেষ্টই কম হবে বলে বৃহস্পতিবার জেলাওয়াড়ি বৈঠকে জানিয়ে দিলেন জেলার কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে সংস্কৃতির অ্যানেক্স হলে জেলার ত্রিস্তর প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা তথা বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারি সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কৃষি কর্মাধ্যক্ষরাও।
এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবারে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে জেলার যে সমস্ত এলাকায় আলু চাষ বেশি হয় সেই সমস্ত এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গতবারের তুলনায় এবার আলুর উৎপাদন অনেকটাই কম হবে। উল্লেখ্য, এদিনের এই বৈঠকে শস্য বীমা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ওঠে। বিশেষত, শস্য বীমা নিয়ে চাষীদের কি বোঝানো হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।
এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে সকলেই শস্য বীমার অধীনে আসতে পারেন তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লক এবং প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় এব্যাপারে ব্যাপক প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে এবার প্রচার চালানো হবে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, যেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বারবার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তাই প্রত্যেকেরই ফসল বীমা করা প্রয়োজন। আর সেই ফসল বীমার উপরই তাঁরা জোর দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আলু ছাড়া অন্যান্য ফসলে ৮০ শতাংশ সুফল পাওয়া গেলেও, আলুর ক্ষেত্রে চাষীদের এখনও বোঝানো যায়নি। তাই চাষীদের এব্যাপারে বোঝানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। একই সঙ্গে আলুর বীজ বাইরে থেকে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সারের কালোবাজারি রোখার জন্যও।