রাস্তার পাশে ঝোপে একাধিক পিপিই কিট ও মাস্ক পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের নির্মল ঝিল শ্মশান এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে পড়ে থাকা কিটগুলি উদ্ধার করে তা নষ্ট করার ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকালে নির্মল ঝিল শ্মশান এলাকার একটি ক্লাবের সামনে ঝোপের মধ্যে বেশ কয়েকটি পিপিই কিট পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। করোনা আতঙ্কের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে এই পিপিই কিট নিয়ে গোটা এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি উত্তেজনাও দেখা দেয়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে পড়ে থাকা পিপিই কিটগুলি উদ্ধার করে নষ্ট করার ব্যবস্থা করে।

এদিকে, এদিন সকালে এভাবে পিপিই কিট পড়ে থাকায় নির্মল ঝিল শ্মশানে গোপনে করোনায় মৃত রোগীদের দাহ করা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন এলাকার মানুষজন। এব্যাপারে বর্ধমান পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ জানিয়েছেন, বুধবার জেলায় সর্বদলীয় বৈঠকে এবং প্রশাসনের সমস্ত বিভাগের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ক্রমবর্ধমান করোনায় আক্রান্ত হবার বিষয় নিয়ে সকলকেই সচেতনতা অবলম্বন করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়। অমিতবাবু জানিয়েছেন, করোনা প্রোটোকল অনুসারে ইতিমধ্যেই এই জেলায় করোনায় মৃতদের সৎকারের জন্য মঙ্গলকোট এবং পূর্বস্থলীতে দুটি পৃথক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির জেরে এবং কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য ওই দুটি জায়গায় মৃতদেহ সৎকার করায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বর্ধমান সদর উত্তর ও দক্ষিণ মহকুমার সমস্ত করোনায় মৃতদের বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশানেই রাত্রি ১১টা থেকে ৪টের মধ্যে সৎকার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বদলীয় বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীতও হয়। আর তারপরেই বুধবার রাতে নির্মল ঝিল শ্মশানে করোনায় মৃত একটি দেহের সৎকারও করা হয়। কিন্তু ওই পিপিই কিট কাদের সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে অমিতবাবু জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারেও তাঁরা সতর্ক রয়েছেন। পাশাপাশি যেহেতু নির্মল ঝিল শ্মশানে করোনায় মৃতদেহ সৎকার শুরু হয়েছে তাই সেখানেও প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।

Like Us On Facebook