বাংলার গ্রামগুলিতে কাল সাপের কামড় থেকে বাঁচতে মা মনসার পুজো প্রচলিত আছে। পর পর সাপের ছোবলে মৃত্যুর পর শহর বর্ধমানের উপকণ্ঠে বেলকাশ গ্রামের বাসিন্দারা সাড়ম্বরে মা মনসার শরণাপন্ন। শুক্রবার নাগ পঞ্চমীর দিন দিনভর যজ্ঞের আয়োজন করা হল বেলকাশ গ্রামে। বর্ষার শুরুতেই এবছর পর পর সাপের ছোবলে বেলকাশ গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়। আবার কয়েকজনের মৃত্যু না হলেও দংশন সহ্য করতে হয়েছে।
তারপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বাসিন্দারা সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পরিজনরা চাষের কাজে মাঠে গেলেও উৎকন্ঠায় দিন কাটান বাড়ির লোক। অথচ প্রায় চারশো ঘরের সিংহভাগেরই রোজগারের একমাত্র সম্বল এই চাষই জানালেন গ্রামেরই বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস। তিনি আরও জানান তাই তারা গ্রামবাসীদের আতঙ্ক কাটাতেই এদিন তারাপীঠ থেকে সাধু সন্ন্যাসীদের নিয়ে এসে পুজো পাঠের আয়োজন করেন। গ্রামের আর এক বাসিন্দা জানান, দামোদর পাড়ে হওয়ায় গ্রামে সাপের উপদ্রব আছেই। তারপর বর্ষার জল গর্তে ঢুকতেই সাপ বেড়িয়ে পড়ে কামড় বসাচ্ছে। তাই এই যজ্ঞের আয়োজন। আশাকরি এর ফলে উপদ্রপ কমে যাবে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সংযুক্ত সম্পাদক অনাবিল সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, সাপের কামড়ে যাগযজ্ঞ ও ওঝা নয়, দ্রুত পৌঁছান হাসপাতালে। আর এতেই বাঁচবে প্রাণ।