এবার বর্ধমান শহরে ভুয়ো চিকিৎসকের হদিশ মিললো। বর্ধমানের লক্ষীপুর মাঠে রীতিমত নিজের বাড়িতে জমিয়ে প্রাকটিস করছেন ডাঃ দিপ্তেশ কুমার প্রসাদ। শুধু চেম্বার নয়, নিজের বাড়িতে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই রমরমিয়ে ওষুধের ব্যবসাও করছেন ভুয়ো ডাক্তারবাবু। যদিও তাঁর সাফাই রোগীদের জরুরী পরিষেবা দেওয়ার জন্যই বাড়িতে ওষুধ রাখা। চিকিৎসকের চেম্বার ও প্রেসক্রিপসনে লেখা আছে এক গুচ্ছ ডিগ্রী। এমবিবিএসএ, সিএমএস(ক্যাল), এমডি (অলটারনেটিভ মেডিসিন), আইআইটিডি (ক্যাল), ইসিজি, কার্ডিওলজি। ওই ডাক্তারবাবু জানান, বিহারের মধুবনী আরকে কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক তিনি। বর্ধমানের কাছারী রোডের একটি স্কুল থেকে ওই চিকিৎসক অলটারনেটিভ মেডিসিনের ডিগ্রী পেয়েছেন একটি বেসরকারী সংস্থার অধীনে ক্লাস করে।
ওই ডাক্তারের বাবা একে প্রসাদও চিকিৎসক। তিনিও ছেলের চেম্বারেই প্রাকটিস করেন। তবে তাঁর সাইন বোর্ডে লেখা আছে জেনারেল ফিজিসিয়ান। বাবা ছেলে দুজনেই দিব্যি চেম্বার করছেন। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন বর্ধমান শহরে। অনেকে বলছেন এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। বর্ধমানের ডাক্তার পাড়া খোসবাগানে ইতিউতি চেম্বারে নাকি প্রচুর ভুয়ো ডাক্তার লুকিয়ে আছেন। রাজ্যব্যাপী ভুয়ো ডাক্তারের কাণ্ডে অনেকের নাকি ঘুমও ছুটেছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় জানান, ওই ডাক্তারবাবুর সব ডিগ্রী ভুয়ো। ওই সব ডিগ্রী নিয়ে চিকিৎসাই করতে পারেন না। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুত রাখা বা বিক্রী করাও বেআইনী। তিনি জানান এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।